“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১৮

কবিতা

।। সুপ্রদীপ দত্তরায় ।।




(C)Image:ছবি











প্রিয়তমাসু, কবিতা, 
অনাদিকাল থেকেই আমি তোমার অপেক্ষায়,
অশোকতরুর তলে, পলাশের রক্তিম বিছানায়,
কিংবা ঘন ঝাউবনের স্নিগ্ধ রৌদ্র ছায়াতে
আমি প্রতিনিয়ত তোমারই অপেক্ষাতে।
যখন শুকনো পাতা চৈত্রের দমকা হাওয়ায় 
নিরুদ্দেশের ঠিকানাটি বাতাসে খুঁজে বেড়ায় , 
আমি তার মর্মর ধ্বনিতে শুনি তোমার পদধ্বনি ;
মনে হয়, এই বুঝি তুমি এলে, এই অবেলায়।
অপেক্ষা দীর্ঘতর হয় তোমারই অপেক্ষায়।
যখন সূর্য, মেখে আবীর পশ্চিম দিগন্তে দাঁড়িয়ে 
আকাশ জুড়ে তার রক্তিম আভা সীমান্তে ছড়ায়;
রাখালের ঘর ফেরা বাঁশি ফিরে ফিরে কাঁদে,
অভিমানে, মিলনের আকুল প্রত্যাশায়।
আমি যে খুঁজি , কেবলই তোমায় খুঁজি, 
অনাবীল আনন্দের অলীক ঠিকানায়।
প্রত্যাশা ক্ষীণতর হয় তোমারই প্রতীক্ষায়।
মেঘেতে যে ছবি এঁকেছি, আষাঢ়ের আকাশে 
কিশোরী বসুধার সাজ সেথায় ষোড়শীর বাসে;
যৌবনেতে  মাতাল নদী , মন্দ মৃদু বাতাস
ফুলে ফুলে ডাকে তারে তরু লতা ঘাস,
টুপটাপ বৃষ্টিতে ময়ূরী মিথুনে ,
আমি শুধু বারবার ছেড়ে দীর্ঘশ্বাস 
মনেরে বোঝাই ডেকে কঠিন ভরসায় 
হবে দেখা, হবে আবার তোমাতে আমায়।
এক বছর, এক যুগ, একটা জীবন
আশায় আশায় জাগি আমি আমরণ
স্বপ্ন সফল হবে এই ভরসায় ।
প্রিয়তমাসু, ,অনাদিকাল থেকে 
আমি তোমারই আশায়।



কোন মন্তব্য নেই: