“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৮

কবিতার দিনে

কবিতার দিনে
........................

জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছে সে।

মনে ও হাতে ময়লা লেগে আছে আমার। 

তাকে ছুঁতে পারছি না। 

আর একটু দাঁড়িয়ে সে চলে যাবে।

আমি সেই অপসৃয়মান অক্ষর মিছিলের দিকে তাকিয়ে থাকবো।

যতখানি ভালো হলে, তার সব খারাপকে আমি লিখে দিতে পারি, ততদিন সে এমনি করে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থেকে মিলিয়ে যাবে।

আমি তার জন্য অসুস্থ হচ্ছি, মরে যাচ্ছি, হিংসুটে, ফ্রড, চোর হয়ে যাচ্ছি, খুঁজছি শুধু চতুরতা, তখন সে মনে মনে হাসবে,

একশোটা আমি গনগনে কয়লার মতো বর্ণমালায় তাকে লিখে যাবো, এই আশায় সে তার লিঙ্গচিহ্ন বিসর্জন দিয়েছে, অথচ তার শরীর দুধে ভরে আছে,

 উপচানো সাদা পালের মতো কাঁপছে,

নাহ্ আমি গত সপ্তাহ এবং আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত তাকে  পেলাম না। 

জানালার পাশে একটি নদী এসেছে। দু তিনটে কাশের বন, পা ডুবে যাওয়ার মতো খানিকটা পলি ও কাঁদা,  একটি ভীষণ জোয়ার। 

বালুকাবেলার পাশে একরত্তি এই ঘর। 

আমাকে কেন সে এই ঘরে ঢুকিয়ে দিলো, আমি যে পারি না অক্ষরকে শাসন করতে ...

কোন মন্তব্য নেই: