“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮

বেপরোয়া

   
।।  রফিক উদ্দিন লস্কর  ।।

যে যাই বলুক না কেনো!
মিলছে তো মনের খোরাক
কিছু অতৃপ্ত বাসনার উদ্রেক।
প্রতিকূলতা সময় ও মনের
তবুও একধাপ এগিয়ে।
বাতাসের কাঁধে ভর করে
ফোয়ারা উড়ায় ভনভনিয়ে।
কিছুটা মরচে ধরা স্মৃতিপথ
এনেক আগেই বসতি ছিলো
এখন যাইনি আগাছায় পরিপূর্ণ।
চশমা লাগিয়ে দূর থেকে দেখি
পায়ে দারুণ ব্যথার প্রভাব।
ঝাপসা শব্দের আনাগোনায়
থাকতে শোভা পায় না এখন।
ফোসকার উপশম খুঁজতে খুঁজতে
বেলা অনেকটা গড়িয়ে গেলো।
ঝিমোতে ঝিমোতে কল্কে টানি
আর ভাবতে থাকি আমি মহারাজা।
কে জানে, কোন প্রাসাদে বিচরণ!
সবশেষে খোলা হাওয়ায় কথাবলিয়ে
বাক্যালংকারে সময়ের সাথে আড়ি।
২৪/০৩/২০১৮ ইং
নিতাইনগর,হাইলাকান্দি (আসাম-ভারত)

কোন মন্তব্য নেই: