“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১২

মনসা-মঙ্গল



।। শক্তিপদ ব্রহ্মচারী।।
                     










 

 




প্তডিঙা মধুকর চারিদিকে জল
শ্রাবণের অবিশ্রাম মনসা-মঙ্গল
পচা পাটে এঁদো ডোবা বিষধর ফণা
ছেঁড়া কাঁথা-কাণি আর বাহুলা-যন্ত্রণা
হু হু করা কালসন্ধ্যা ভেসে আসা গানে
সায়ের ঝিয়ারি যায় অনন্ত ভাসানে ।

কোথায় নিছনি কোথা চম্পক-নগর
সাতনরী শিকা ঝোলে ঘরের ভিতর
কুপিলম্পে রাতকানা নিরক্ষরা বুড়ি
লখা
র মরণে কান্দে আছুড়ি-পিছুড়ি

জাল-টানা ছেলে আজ রাতে গেছে জলে
রেখো মা মনসা তার সর্বাঙ্গ কুশলে ।

গাঙের গর্ভিণী সেই গন্ধ ভেসে আসে
শ্রাবণীর দিগম্বরা দখিনা বাতাসে
এখনো বুকের দ্বিজ বংশীদাস কহে
হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কালীদহে...
ডহরের ঘোর-লাগা গহনের টানে
সায়ের ঝিয়ারি যায় অনন্ত ভাসানে ।

--- --


কোন মন্তব্য নেই: