“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৫ আগস্ট, ২০১২

ভাষাহীন


















মার নিজের কোনো ভাষা নেই,
আমি তাই প্রতিদিন তোমার ভাষার খোঁজে
রাতের আলখাল্লা আর দিনের পকেট চুরি করি ৷
চুরি করা পাপ ঠিক,কিন্তু ভাষাচুরি ?
ফুলচুরি চুরি নয় ,ভাষাচুরি তা-ই ৷
আমিও ডাকাত হই, কেননা আমার ভাষা নাই ৷


মাতৃভাষা ?তাকে যদি ভাষা বলে ধরি,
গতকাল রাতে যে হে মণিপুরী ছেলেটির
মন গেছে চুরি ,তার খোঁজে আমার ভাষাকে আমি
অভিযুক্ত না করে পারিনি---কেন ওই চুরি-যাওয়া
মনের ভাবনাস্রোত আমার ভাষার  জানা নাই ?
ভাষা নাই,আমার সত্যিই কোনো ভাষা জানা নাই ৷


কিংবা যে খাসিয়া ছেলে ,নাকে সিকনি, ভুলে গেছে হাসি
কেননা ভিক্ষার  থালা তার তিনদিন রয়েছে উপোসি
আমার ভাষাকে আমি পেরেছি পৌঁছোতে তার নিদ্রাহীন ঘরে?
যে ভাষায় কথা বলে মুসলিম চাষি,আমি তার দুয়ারে দুয়ারে
পেরেছি কি মেঘ হতে ? আমার মায়ের ভাষা প্রতিরাতে
নিজের কাছেই ফিরে আসে,আমার প্রাণের ভাষা
অসমিয়া একটি মেয়ের হাসির কিরণ ভিক্ষা করে ৷
কাব্যের ব্যর্থতা তবে এই ? কবিতায়ও
প্রতাপের ভাষা এসে ঢেকে ফেলে প্রাণের সে সোঁদা ভাষাকেই ?


আমার এ ভাষা তুমি কেড়ে নাও,লিখবো সে অন্তহীন
নৈঃশব্দ্যের এঁটো ভাষাতেই ৷
আমার নিজের কোনো ভাষা নেই, মাতৃভাষা নেই ৷
--- --- ---

কোন মন্তব্য নেই: