“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

তিনসুকিয়ার 'উজানে'র উদ্যোগে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস;২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪




হোদয়/মহোদয়া,
    আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, শুক্রবার, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে এবারও ‘উজান সাহিত্য গোষ্ঠী’ এই দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করতে চলেছে। বিকেল ২.৩০ মিনিটে দুর্গাবাড়ি পূজা মণ্ডপে বহুভাষিক কবিতা পাঠ, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভাতে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেনঃ

অধ্যাপক দেবাশিস দত্ত, কবি, প্রাবন্ধিক  এবং সম্পাদকঃ পূর্বাদ্রি (সাময়িক পত্রিকা) ; ডিমাপুর।
                      ( বিষয়ঃ  ‘১৯শে মে, ২১শে ফেব্রুয়ারি এবং উত্তরাধিকার’)
মৃদুলা চলিহা শর্মা , অধ্যক্ষাঃ সৌমারজ্যোতি বিদ্যালয়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং সাংস্কৃতিক কর্মী; তিনসুকিয়া
                     (বিষয়ঃ ‘ বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ৰ পাঠ্যক্রমত মাতৃভাষাৰ গুৰুত্ব’)
         এই অনুষ্ঠানে সবাই উপস্থিত থেকে এবং অংশ গ্রহণ করে অনুষ্ঠান সুন্দর এবং সফল করে তোলবেন এই অনুরোধ জানাচ্ছি।

তারিখঃ ১লা ফেব্রুয়ারি,  ২০১৪                     ইতি
তিনসুকিয়া।                                   বিনীত নিবেদক
                                                  রূপা পাল
                                                  আহ্বায়িকা,
                                                  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
                                                  উদযাপন উপসমিতি
                                                  ‘উজান সাহিত্য গোষ্ঠী’


যোগাযোগের ঠিকানাঃ
ভানু আর্টস, রাঙ্গাগড়া রোডস, (সুবচনী আলীর বিপরীতে), তিনসুকিয়া, আসাম। দূরভাষঃ৯৪৩৫৭৭০৯৩৬,৯৯৫৪২২৬৯৬৬, ৯৮৫৯২১০৪৩৫,৯৪৩৫৩৮৫৪৪০,৯৯৫৪৭৯৭১২২


এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী  ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৪ রবিবার সকাল থেকে বাডস্ নার্সারি স্কুলে অনুষ্ঠিত হবে চিত্রাঙ্কন, হাতে লেখা, প্রবন্ধ রচনা, আবৃত্তি   প্রতিযোগিতা এই প্রতিযোগিতাতে অংশ নেবার জন্যে  সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করবার অনুরোধ রইল

বিভিন্ন প্রতিযোগিতার কর্মসূচী এবং সময় সূচীঃ


চিত্রাঙ্কনঃ  সময়ঃ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০টা

শাখা  শ্রেণি  বিষয়ঃ কিছু কবিতার পংক্তির সঙ্গে নমুনা (Model) ছবি দেয়া হলো। প্রতিযোগীরা কবিতা পংক্তি অনুসরণ করে ছবি  অন্যভাবেও  আঁকতে পারে।
         ২য় শ্রেণি পর্যন্ত        
     ১) বেঁকা ঠোটেৰে টিয়াঁ   (নাইবা)
    
    












 ২) ৰঙা পাখিৰে জিঞা      ( নাইবা)

     









  


৩) গাছে থাকে পাখি       (বা)

     










 ৪) জলে থাকে মাছ       

















                    ৩য় থেকে ৫ম   


 ওখৰ পৰা চাপৰলৈ
        বৈ যায় পানী
 দ-বাম কোনখিনি
      তেতিয়াই চিনি।
  
  
















(বা)
  হাঁস ছিল সজারু (ব্যাকরণ মানিনা)
  হয়ে গেল হাঁসজারু কেমনে তা জানি না।










               ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম   



বগলী এ’ সবাহ নগলি কিয়?
     গৈছিলোঁ গৈছিলোঁ
বাটতে বরষুণে পালে...









   



  (বা)
ফিরল সবাই ইস্কুলেতে সাঙ্গ হল ছুটি-
আবার চলে বই-বগলে সবাই গুটি গুটি  

















              ৯ম থেকে ১২শ          

          মধনীয়া ঢ-ৰ ঢোলৰ চাপৰ
          মাথোঁ ঢপ্ ঢপ্ কৰে ।










      




   (বা)
স্টীমার আসিছে ঘাটে প’ড়ে আসে বেলা,
পূজার ছুটির দল, লোকজন মেলা।
এলো দূর হতে; বৎসরের পরে
ফিরে আসে যে যাহার আপনার ঘরে।












হাতে লেখা প্রতিযোগিতাঃ সময় ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, দুপুর ১২টা

শাখা            শ্রেণি       বিষয়
(প্রতিটি স্তবক তিনবার লিখতে হবে)

    ১ম শ্রেণি পর্যন্ত   
ছোট খোকা বলে অ আ
শেখেনি সে কথা কওয়া।
     (বা)
আহাঁ আহাঁ অকণিহঁত ওচৰতে ব-হাঁ!
পলকতে তোমালোকক শিকাম অ-আ

    ২য় থেকে ৪র্থ        
“নিজৰ ভাষাৰ মর্য্যাদাৰে নিজৰ চিনাকি                                                                                       দিয়াতো প্রকৃত দেশপ্রেমিকৰ কাম।”
(বা)
“দূরদেশী ভাষার থেকে আমরা বাতির আলো সংগ্রহ করতে পারি মাত্র কিন্তু আত্মপ্রকাশের জন্যে প্রভাত আলো বিকীর্ণ হয় আপন ভাষায়।”

আবৃত্তি প্রতিযোগিতাঃ সময়ঃ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ৩টা থেকে।(অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাবাড়ি ত্রিতল, নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের কার্যালয়।)

শাখা                শ্রেণি                   বিষয়
(কবিতা গুলো সব আলাদা করে দেয়া আছে)

    ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত                     
     শীত-রাতঃ  অশোক বিজয় রাহা
     কাৰ কি মাতঃনৱকান্ত বৰুৱা

    ৫ম থেকে ৮ম                            
উদ্বাস্তুর ডায়েরিঃ শক্তিপদ ব্রহ্মচারী
সবাতোকৈ আপনঃ নৱকান্ত বৰুৱা

    ৯ম থেকে ১২শ   
ঘরে ফেরার দিনঃ ঊর্ধ্বেন্দু দাশ      
চিৰ চনেহী মোৰ ভাষা জননীঃ মিত্রদেৱ মহন্ত
অসমীয়া ভাষাৰ কাৰণে কবিৰ প্রার্থনাঃ জ্যোতিপ্রসাদ আগৰৱালা

    সাধারণ (১২শ শ্রেণির উপরে যে কেউ)

ফুল্লরার দুঃখ কষ্টঃ বিজয় কুমার ভট্টাচার্য
কুশিয়াৰাত এতিয়া ঢল নামিছেঃ সঞ্জীৱ গোহাঞিবৰুৱা

প্রবন্ধ প্রতিযোগিতাঃ

এই প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর প্রবন্ধটি বাড়ি থেকে লিখে ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪র মধ্যে ‘উজান’ কার্যালয়ে বা বাডস হাইস্কুলের অনুষ্ঠান স্থলে জমা দিতে হবে। প্রবন্ধ ৫০০ শব্দের মধ্যে হতে হবে। প্রবন্ধের ভাষা বাংলা, অসমিয়া বা হিন্দিতে হবে। পুরস্কার প্রাপ্ত রচনাগুলো আগামী সংখ্যা ‘উজানে’ প্রকাশিত হবে। অসমিয়া এবং হিন্দি প্রবন্ধ বাংলাতে অনুবাদ করে প্রকাশিত হবে। দু’টী শাখাতে প্রতিযোগিতা হবে।  ৫ম থেকে ৭ম শ্রেণি ক শাখা; ৮ম থেকে ১২শ শ্রেণি খ শাখা। বিষয় দু’টি শাখাতেই একঃ
          “ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আৰু ইয়াৰ প্রাসঙ্গিকতা”
          “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং তার প্রাসঙ্গিকতা”
          आन्तर्जातिक मातॄभाषा दिव्स ओर इसके प्रासङिकताए
নিয়মাবলীঃ

১) চিত্রাঙ্কন এবং হাতে লেখা প্রতিযোগিতাতে আয়োজকদের তরফে কাগজ সরবরাহ করা হবে।
২) নির্দিষ্ট বিষয়ে ছবি আঁকতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নমুনা (Model)ছবি প্রচার পত্রে দেয়া হলো। প্রতিযোগীরা কবিতা পংক্তি অনুসরণ করে ছবি  অন্যভাবেও  আঁকতে পারে।
৩) ছবি আঁকার সামগ্রী প্রতিযোগীদের নিজেদের নিয়ে আসতে হবে।
৪) আঁকার সময় ২ ঘন্টা।
৫) আবৃত্তি প্রতিযোগিতাতে দেখে অথবা মুখস্ত আবৃত্তি করা যাবে। আয়োজকদের তরফে দেয়া কবিতা গুলোই আবৃত্তি করতে হবে। প্রতিযোগীদের প্রতিটি শাখাতে বাংলা বা অসমিয়া যে কোন ভাষার একটি কবিতা বাছাই করতে হবে।
৬) প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় অংশভাগীরা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর প্রবন্ধটি বাড়ি থেকে লিখে এনে ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪র মধ্যে ‘উজান’ কার্যালয়ে বা বাডস হাইস্কুলের অনুষ্ঠান স্থলে জমা দিতে হবে।
৭) সমস্ত প্রতিযোগিতাতে বিচারকদের রায় চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
8) ২১শে ফেব্রুয়ারির মূল অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
৯) প্রতিটি প্রতিযোগিতাতে যোগদান মাশুল  ৩০ টাকা ।
১০) বিজয়ী প্রতিযোগীদের ২১শে ফেব্রুয়ারি,১৪ দুর্গাবাড়ি পূজা মণ্ডপের মূল অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

আবৃত্তি প্রতিযোগিতার নির্বাচিত কবিতা
ক বিভাগ (৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত)


শীত-রাত
         
অশোক বিজয় রাহা

গ্রাম-বুড়ী কাঁথামুড়ি খড়ের ধোঁয়ায়
নাক ডেকে ঘাড় গুঁজে বেজায় ঘুমায়,
পথঘাট ঘুমে কাঠ, কোথা নেই সাড়া,
এক পায়ে ঘুম যায় গাছপালা খাড়া,
ঝোপে ঝোপে শেয়ালেরা সব চুপচাপ,
শিশিরের ফোঁটাগুলি ঝরে টুপটাপ,
ইঁদুরের বাদুড়ের নেই খুট্খাট,
একধারে শুয়ে আছে ধান-কাটা মাঠ।

বটগাছে কেঁদে ওঠে শকুনের ছা
জেগে উঠে পাখসাট মারে তার মা,
একা একা কুয়াশায় এই শীত-রাতে
কানা চাঁদ ভাঙা এক লণ্ঠন হাতে
আদম পুরের দিকে চালিয়েছে পা।

    
কাৰ কি মাত
         
                     নৱকান্ত বৰুৱা

বাঘ সিংহই       গোঁজৰ মাৰে
পাৰই দিয়ে ৰুণ,
ভোমৰা আৰু      মৌ মাখিয়ে
কৰে গুণ গুণ
শিয়ালে কৰে      হোৱা হোৱা
কুকুৰবোৰে ভুকে,
মেকুৰীয়ে    মিউ মিউকৈ
ফুৰে চুকে চুকে।
ছাগলীবোৰে বেবাই ফুৰে
গৰুৱে হেম্বেলিয়ায়,
কাউৰীবোৰে গছৰ আগত
থাকে ৰমলিয়াই।
চিৰিক্ চিৰিক্ কৰি মাতে
ঘৰ-চিৰিকা জাকে,
সোণ মইনাই   কি কৰেনো?
কল্ কলাই থাকে!

খ বিভাগ ( ৫ম থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত)

সবাতোকৈ আপোন

                     নৱকান্ত বৰুৱা
হয়তো নহ’ব পাৰে মোৰ আই সবাতো শুৱনি
     তথাপি আপন মোৰ আই!
গছ –লতা- ফুলে এইখন ধুনীয়া ধৰণী
     তেৱেঁ মোক দিলেহি চিনাই।

হয়তো নহ’ব পাৰে মোৰ দেশ সবাতো চহকী
     তথাপি আপোন মোৰ দেশ,
ইয়াৰ নগৰ গাঁও জান-জুৰি প্রাণৰ চিনাকি
     যাৰ নাই মহিমাৰ শেষ।

হয়তো নহ’ব পাৰে মোৰ ভাষা সবাতো সুৰীয়া
     তথাপি আপোন এই ভাষা,
তাৰেই প্রকাশ কৰোঁ অন্তৰৰ ভাব কুমলীয়া
     সুখ-দুখ শান্তি আৰু আশা।

মোৰ আই, মোৰ দেশ, মোৰ ভাষা ভাল পাওঁ মই
     তাৰে মই চিনিম জগত,
সুবিশাল পৃথিবীত হাতে হাত ধৰা-ধৰিকৈ
     খোঁজ দিম সবাৰে লগত।


    


উদ্বাস্তুর ডায়েরি

শক্তিপদ ব্রহ্মচারী

যে কেড়েছে বাস্তুভিটে সে-ই কেড়েছে ভয় ,
আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়।
হিংসাজয়ী যুদ্ধে যাব, আর হবে না ভুল
মেখলা- পরা বোন দিয়েছে একখানা তাম্বুল
এবার আমি পাঠ নিয়েছি—-আর কিছুতে নয়,
ভাষাবিহীন ভালোবাসার বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলা আমার আই- ভাষাগো, বিশ্ব আমার ঠাঁই
প্রফুল্ল ও ভৃগু আমার খুল্লতাত ভাই! 

গ বিভাগ ( ৯ম থেকে ১২শ শ্রেণি পর্যন্ত)


চিৰচেনেহী মোৰ ভাষা জননী

               মিত্রদেৱ মহন্ত

চিৰচেনেহী মোৰ ভাষা জননী,
আই ধন্যে-পুণ্যে হৃত-পাৱনী
প্রকৃতি পৰশ-ৰসে অমল কমল
চঞ্চল হৃদি-জলে ঢালে পৰিমল,
     কোমল চম্পাৰ কলি
     ঢৌৱে ঢৌৱে ঢৌৱে তুলি
ৰিণিকি ৰিণিকি কোনে তোলে ৰাগিণী?

সংসাৰ গুৰু-ভাৰে অৱশ পৰাণ,
হিয়াত বিলীন হয় হিয়া ভৰা গান;
     কাৰ নিচুকনি শুনা
     শুনি বানী ব্যথা পমা
চকুতে চকুৰ নীৰে লয় জিৰণি।।

জীৱনে- মৰণে –ৰণে লহৰী সুধাৰ
ৰসনা শিতানে বহি সিঁচা শত ধাৰ
     হে মোৰ মধুৰাননা
     মাগিছোঁ মাধুৰি-কণা,
দিয়াঁ , দিয়াঁ, দিয়াঁ আই, মধুভাষিণী।।



অসমীয়া ভাষাৰ কাৰণে কবিৰ প্রার্থনা

                                   
                  জ্যোতিপ্রসাদ আগৰৱালা

ঠুনুক-ঠানাককৈ অমিয়া বৰষা,
অমাতৰ মাত যেন কোৱা যিটি ভাষা।
অসমীয়া ভাষা মোৰ বৰ মৰমৰ ,
 জ্বলন্ত সাধনা যেন কত জনমৰ।
অগনি অমৃত মৌ ছন্দ গীত গান,
লয়, তান, মান, মাত্রা, অলংকাৰ তান
শতভঙ্গ নৱৰঙ্গ কাব্য নিজৰাৰ,
নৱৰস বৰষক ধাৰে বাৰিষাৰ।
উজলক নৱভাৱ তৰা কোটি কোটি
মোৰ ভাষা আকাশত নিতে নিতে ফুটি।
কল্পনা বনত হওক সবিতা উদয়,
প্রচণ্ড প্রতিভা জ্বলি জগত বিস্ময়।
বসন্ত প্রকৃত সমা হোক মনোবন,
ৰূপে ৰসে গন্ধ গানে বিশ্বৰ বোধন।
চিৰসুন্দৰক নিতে মাগি আছোঁ বৰ,
কামৰূপা ভাষা মোৰ কৰিবা অমৰ।
পৃথিবী লক্ষ্মীৰ হৈ ফোঁট কপালৰ,
জ্বলিব জেউতি জোন যাউতি যুগৰ।
 
     ঘরে ফেরার দিন

                     কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ

দোপাটির গোছ খুলে অঢেল চুলের রাশ কবরীর প্রান্তে ছড়িয়ে,
জলের ঝালর –ঘেরা চোখের তারার হাসি থরো-থরো ওষ্ঠে ঝরিয়ে,
শিমূল-ঝরার দিনে পাহাড়তলির ঘন আলতায় পা-দুটি ডুবিয়ে
সম্রাজ্ঞীর মহিমায় ভাস্বর তোমার ছবি কতকাল ভুলতে পারিনি!---

শিমূল ঝরার দিন অতঃপর পৃথিবীতে বারবার এসে, চলে গ্যাছে—
নির্জন বনস্থলী, ঝরনার সিম্ফনি, বলাকার ডানায় কেঁপেছে;
অরণ্যের চন্দ্রাতপে সূর্যের আলপনা-গায়ে দেহাতিরা ঘরে ফিরে গ্যাছে—
নাহর ছায়ায় হেঁটে কখন বিকেল এলঃ তুমি আর ফিরেও ডাকোনি।–

 তোমার উঠোন জুড়ে আমার সতর্কপদ বিকেলের রোদের ক্রমণ,--
 চৈত্রের বিবর্ণদিন ; বিশীর্ণ প্রপাত ঘিরে ঝরঝর জলের পতন
 অদূরে বিচিত্র-সাজ পার্বতী-রমণীর ভারনত শিলাবতরণ—
 মেঘে মেঘে বেলা যায়, আমার অপূর্ণ ঘট ভরা তবু হয়েতো ওঠেনি!_
 সম্মুখে আঁধার রাত, দুর্গম চড়াই –পথ হেঁটে তবে তোমার সীমানা—
 মা, তুমি নিশ্চিত জেনো, সোনালী সূর্যোদয়ে পৌঁছবো ঘরের ঠিকানা।

ঘ বিভাগ ( সাধারণঃ ১২শ শ্রেণির উপরে যে কেউ )

ফুল্লরার দুঃখকষ্ট
    
                    বিজয়কুমার ভট্টাচার্য

সারাদিন খোয়া গেল সূর্য অস্তাচলে
একটি পাখিও নেই শিকারের জালে
ঘরে আছে প্রিয়তমা ফুল্লরা রমণী
উনানে চাপায় হাঁড়ি পদশব্দ শুনি,

কোথায় মুকুন্দরাম মন্বন্তর দেখে
তোমার আখ্যান আজো পড়ে থাকে লোকে
বর্ষণমুখর ঝড় রাতের আন্ধারে
মানুষ অজ্ঞাতে যায় ভিটে মাটি ছেড়ে

তবুও তরুণ রক্তে ডিহিং লোহিত
জল ঝড় নাহি মানে খর হাওয়া শীত
ডেরা বাধেঃ রুটি রুজি, তারো ঘরে বউ
ফুল্লরার দুঃখকষ্ট জেনেছে কি কেউ

আমার ধনুক ভাঙ্গা গুণীনের গুণ
অরণ্য জুড়িয়া ক্রোধে জ্বালায় আগুন
পশুপাখি মৃতপ্রায় অথবা বিলীন
রিক্ত  হস্তে ফিরি ঘরে এভাবেই দিন

যায় মাস, বর্ষ, যায় বর্ষান্তরে
সহস্র ফুল্লরা কাঁদে লাচাড়ী পয়ারে
কে বিদেশী যাও নায়ে পূর্বস্রোতমুখী
আমারে তুলিয়া লও আজন্মের দুখী

পিদিম নেভানো রাত, ভোরে সূর্য ওঠে
দুশ্চিন্তার রেখাচিত্র অংকিত ললাটে
অমঙ্গলে সন্ধ্যা নামে পাখি ঘরে আসে
ফুল্লরা শবদেহ নদীজলে ভাসে

ডেরা বাঁধা মানুষের ঘরবাড়ী পোড়া
অঘোর শাওনে দেখো গাঙে ভাসে মরা
কোথায় মুকুন্দরাম চারণের কবি
অকাল সন্ধ্যায় আঁকো কবিতায় ছবি

আহা, এই ভিটে মাটি ধন ধান্যে ভরা
বাঁচতে চেয়েছে এক দুঃখিনী ফুল্লরা
~~~~~~~০০০~~~~~~~
     কুশিয়াৰাত এতিয়া ঢল আহিছে

                            সঞ্জীব গোহাঞিবৰুৱা

কুশিয়াৰাত এতিয়া ঢল আহিছে।
ডাঠ সেউজীয়া ঢল।
ঢলত ভাহি আহিছে কেতবোৰ সেউজীয়া গান।
এটা গান, দুটা গান,
তোমাৰ গান, মোৰ গান।
সমস্বৰে গোৱা জীৱনৰ গান।
সেউজীয়া চাবলৈ নৈ পাৰত আন এদল মানুহৰ হেতা-ওপৰা।
তেওঁলোক কবিতাত ছন্দ বিচৰা অভিযাত্রী।
এতিয়া আহিছে কুশিয়াৰাত সুৰ ধৰিবলৈ।
কবিতা আৰু গান একাকাৰ কৰিবলৈ।
কুশিয়াৰাত মাছমৰিয়াই গীত গায়; ইলিশ মাছৰ গাথা।
জকীগঞ্জৰ মাইকত আজানৰ শব্দ; মিছন পাৰাত শংখ।
সবেইটো সেউজীয়া; এক বিস্তৃত সেউজীয়া।
সেউজিয়াৰ পাৰ ভাঙে কেইটামান আবেলিৰ শালিকাই।
কুশিয়াৰাত ঢল আহিছে;
সেউজীয়া ঢল।


                                                                    প্রবেশ পত্র                                             নং
                            

নামঃ.....................................................................
বিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠানঃ.........................................শ্রেণি..................................
বিষয়...........................................................শাখা.................................

 (প্রতিযোগীকে এই প্রবেশ পত্র নিয়ে প্রতিযোগিতাতে আসতে হবে।)    
                             
                                                                 আয়োজকদের তরফে স্বাক্ষর এবং সীল
                                                                    
                                                                    প্রবেশ পত্র                                             নং
                            

নামঃ..............................................................................................
বিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠানঃ.....................................শ্রেণি..................................
বিষয়ঃ চিত্রাঙ্কন ◌ ; হাতে লেখা ◌; প্রবন্ধ রচনা ◌ ; আবৃত্তি ◌                        শাখা.................................  
প্রবেশ মাশুলঃ  ` ৩০ টাকা মাত্র




 বিদ্যালয়/ প্রতিষ্ঠানের স্বাক্ষর এবং সীল                                      প্রতিযোগী/অভিভাবকের স্বাক্ষর এবং সীল






                                  --- ---



~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~০০০০০~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~




    
                     
       

             




কোন মন্তব্য নেই: