“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

অবাস্তব



























।। অমিতাভ দেব চৌধুরী।।


 ('ব্যতিক্রম', জানুয়ারি, ২০১৪ সংখ্যায় কবিতাটি প্রকাশিত। )

নুন্নত উচ্চারণ ভুলে যাব...পাখিদের শিস।
ফিরে যাব কলকাতা। লিখব লেঠেল পঙ্ ক্তিমালা।
ইতিহাস কতটুকু কেরদানি...জানে সাতচল্লিশ,
উনিশশো এগারোর পরে সব কাদা আর ধুলা।

তবু আমি জমিদার, দাপুটে বন্ধু নিয়ে ঘুরি।
সিলেটের তীরে ডোবে বরাকের সূর্যের ঠিকানা।
ব্রডগেজ-ভাষা যদি কখনো বা হয়ে যায় চুরি,
ভুল বাংলা কাউকেই কোনদিন বাড়িতে ডাকে না।

আমাকে বুঝো না ভুল। প্রতাপের ভাষার হদিশ
মাস্তান আস্তিন জানে। ভুল ভাষা যে দেশের প্রাণ,
সে দেশে পড়াই ছাত্র। দেশে যেতে জান নিশপিশ।
যে দৃশ্যে পড়ে না আলো, আমি নই তার সন্তান।

একদিন ফিরে যাব দোমড়ানো শহর ছেড়ে দূরে।
কেন্দ্র ঠিক কোনখানে? আমাকে আছে তো ঠিক ঘিরে?

~~০০০~~
পাঠকের ধারণা অমিতাভর এই কবিতাটি  সুমন গুণের এই কবিতাটির প্রত্ত্যুত্তরে লেখাঃ সম্পাদক ঈশানের পুঞ্জমেঘ।

পরাবাস্তব ( ব্যাতিক্রম শারদ সংখ্যা,২০১৩তে প্রকাশিত)

আর কতদিন পর উপত্যকা থেকে কলকাতায়
ফিরবে ভেবেছো?
এই প্রশ্নের গায়
হাত দিয়ে টের পাই চারপাশে আসন্ন সন্ধ্যার
দ্বিধা ও দুর্যোগময় সমাধান হীন অন্ধকার

আরেকটু এগিয়ে এক দাপুটে বন্ধুর সাথে দেখা
সিলেটের তীরে বসে সেও একা একা
ভাষার সৌজন্য মেনে সমবেত গান গায়
আমাদের খুব কাছে বরাকের সূর্য রোজ
আন্দোলনহীন ডুবে যায়
কখনো গভীর রাতে আমরা সম্ভ্রান্ত হয়ে বসে
কথা বলি পরাস্ত ব্রডগেজ নিয়ে; কেন , কার দোষে
ভুল বাংলাতেও কেউ কাউকেই বাড়িতে ডাকে না
কলকাতা থেকে এসে কেউ কেন বেশিদিন এখানে থাকে না
বেলা বাড়ে, আরও বুড়ো হয় এই দোমড়ানো শহর
অনুন্নত উচ্চারণে ভরে ওঠে ভাঙা রাস্তা, নোংরা বাড়ি ঘর।

কোন মন্তব্য নেই: