(পূর্বোত্তর ভারতের কিছু ভিডিও দেখুন)
"ঈশানের পুঞ্জমেঘ-- একটি বাংলা গোষ্ঠী' উদ্দেশ্য ও গোষ্ঠীনীতি”
১। ঈশানের পুঞ্জমেঘ উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যতম সক্রিয় ফেসবুক গোষ্ঠী।গোষ্ঠীনামে এতোদিন ‘একটি বাংলা গোষ্ঠী’কথাটি জুড়ে ছিল। ২০১৯এর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পদগুচ্ছটি হবে ‘একটি বাংলা মুক্তচিন্তা গোষ্ঠী’, যা এই গোষ্ঠীর অনন্যতার চিহ্ন বহন করে। আন্তর্জালে বাংলা লেখক পাঠনের বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে, এই গোষ্ঠী বাংলায় চিন্তন- মনন- সৃজন কর্মের সম্প্রসারণের কাজ করে যাবে। তবে ঈশান শুধুমাত্র একটিফেসবুক গোষ্ঠী মাত্র নয়, একই সঙ্গে এটি পরিচালনা করে “ঈশানের পুঞ্জমেঘ” এবং “কাঠের
নৌকো” নামের দুটি বহুপঠিত ব্লগও।আন্তর্জালে বাংলা ভাষার চর্চা ও প্রসারে দায়বদ্ধ
এই গোষ্ঠীর বিগত বছরগুলির প্রয়াসে অনেকেই আন্তর্জালে বাংলা ভাষার চর্চায় বাংলা
লিপি বা হরফের ব্যবহারে উৎসাহী হয়ে
ঊঠেছেন। ব্লগ দুটি আন্তর্জালে ঈশান ভারতে বাংলায়
চিন্তন- মনন- সৃজনের সাম্প্রতিক চিহ্নগুলি যথাসম্ভব ধারণ করে আছে। বাংলা
ভাষার প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই, এই ফেসবুক গোষ্ঠীতে বাংলা হরফের ব্যবহার
বাধ্যতামূলক, রোমান বা অন্য হরফে পোস্ট, মন্তব্য ইত্যাদি নিষিদ্ধ। এখানে শুধুইইউনিকোড মানক পদ্ধতি ব্যবহার করে লেখা পড়া কিংবা বার্তালাপ করা হয়।বাংলা লিপিতে লিখতে যেকোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হলে সাহায্য করবার জন্যে আমাদের বিশেষজ্ঞ বন্ধুরা আছেন। তারা পরামর্শ
দিয়ে থাকেন।তবে সভ্যরা অন্য যে কোনো ভাষার পোস্ট শেয়ার করতে পারবেন, শুধু বাংলা
হরফে ছোট্ট করে হলেও একটি উপক্রমণিকা রেখে। নিজের মন্তব্যটি পোস্টদাতা করবেন
বাংলায়। পোস্ট কিংবা মন্তব্যে অন্য ভাষার উদ্ধৃতি ব্যবহার করতে পারেন তার মূল
হরফেই।
২।বাংলায় লিখতে পারেন, এবং জন্মসূত্রে সিকিম সহ উত্তর পূর্ব ভারতের সাতটি
রাজ্য এবং উত্তরবঙ্গের যে কোনো ভাষাভাষী ব্যক্তি এই গোষ্ঠীর সভ্য হয়ে পারেন। জন্মসূত্রে পূর্বোত্তর ভারতের
নন, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে থাকার সুবাদে এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক জীবনের
সঙ্গে অতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন, এমন ব্যক্তিও সতে পারেন। আবেদনকারী বাংলা হরফ ব্যবহার করেন কি না এটা নিশ্চিত হলেই সভ্য হিসাবে
গ্রহণ করা হয়। সভ্যরা পোস্ট করবেন সাহিত্য,
বিজ্ঞান, বিশ্বাস,ভূগোল,ইতিহাস, গণিত, সমাজ- ধর্ম-রাজনীতি-শিল্পকলা --যা তাদের মনে
ধরবে তাই নিয়ে। আমরা কোনরকমের সেন্সরশিপে বিশ্বাসী নই। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে প্রতিজন
ব্যক্তিরই নিজের মতামত প্রকাশ করার পূর্ণ
স্বাধীনতা থাকা উচিত। একই সঙ্গে, এটাও মনে রাখা দরকার যে যেকোনো অধিকারের সাথে কিছু দায়িত্বও থাকে। তাই এই
গ্রুপে করা যেকোনো পোস্ট এবং সেই পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ করা অভিমতের জন্য
পোস্টদাতাই সম্পূর্ণভাবে দায়ী থাকবেন এবং এগুলোর জন্য গ্রুপের ক্রিয়েটর অথবা
এডমিনদের কোনোভাবেই দায়ী করা যাবে না। এছাড়াও, কোন ভিত্তিহীন, কুরুচিপূর্ণ, ব্যক্তিগত আক্রমণ বা কুৎসামূলক পোস্ট, ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক পোস্ট বা কোনও বে-আইনি পোস্টকে যেকোনো সময়
মুছে দেওয়া হবে এবং পোস্টদাতাকেও বহিষ্কার করা হতে পারে। সৃজন চিন্তন মননের চর্চায়
বিভিন্ন মত ও দৃষ্টিভঙ্গীর প্রকাশে বহুস্বরিক হয়ে উঠুক ঈশানের প্রাঙ্গণ। বিরোধ হলেও সমস্যা নেই, কিন্তু পারস্পরিক সম্ভ্রম বজায় রেখে।
সমালোচনা ও মতপার্থক্যের আড়ালে মতরুদ্ধ করবার চেষ্টা, অন্য সভ্যদের সৃজন –চিন্তন-
মননপ্রয়াসকে নিরুৎসাহিত করার প্রয়াস ঈশানের পুঞ্জমেঘ গোষ্ঠীর মৌলিক অবস্থানের
বিরোধী। এরকম চেষ্টা দেখা গেলে সঞ্চালকেরা আলোচনাক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সভ্যরাও এ ধরনের বিষয়ের দিকে সঞ্চালকমন্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে / অভিযোগ জানাতে
পারেন।
৩। ফেসবুকের লেখালেখির
থেকে ব্লগের লেখা-পড়ার ব্যাপ্তি নানা কারণে অনেক বেশি। আমাদের দুটি ব্লগ এ-ই বন্ধুরা স্বাগত। আপনার যেগুলো সংরক্ষিত করে রাখবার মতো লেখা, সেগুলো নিয়ে ঈশানের পুঞ্জমেঘ ব্লগে চলে আসবেন, এই অনুরোধ রইল।
সেখানে আসতে আপনি এই পাতটি দেখুন:
“কাঠের নৌকা”আমাদের প্রকাশিত বই পত্রপত্রিকার ঠিকানা।আপনার যেকোনো
প্রকাশনা পিডিএফ করে পাঠিয়ে দিন , এখানে
সযত্নে তুলে রাখব আমরা। তার জন্যে এখানে দেখুন:
এডমিন নীতি মালা:
১) সদস্যরা যেকোনো পোস্ট বা সদস্য, এমনকি একক এডমিন বা এডমিনদের সবার সম্পর্কেই যখন তখন এডমিনদের এবং অন্যান্য সদস্য সদস্যাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযোগ জানাতেই পারেন।
২) গ্রুপ শৃঙ্খলা নিয়ে এডমিনদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা প্রকাশ্যেই গ্রুপ পোস্টে হতে পারে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবার দরকার পড়লে, বা গোপনীয় মনে করলে ফেসবুক গ্রুপ মেসেজে আলাপ হবে । মানে আলাপের
ধারাবাহিকতা গ্রুপে বজায় না রেখে ব্যক্তিগত গ্রুপ মেসেজে সেরে—যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সেটি
নিয়ে পরে এডমিনরা সাধারণ সদস্যদের অভিমত জানতে চাইতে পারেন।
৩) এডমিন সমিতির যেকেউ একটি প্রসঙ্গ এডমিনদের মধ্যে আলাপের জন্যে প্রস্তাব করতে পারেন।
৪) একটি আলাপ
ক’দিন চলবে সেটি
নির্দিষ্ট বাস্তবতা বোঝে পরস্পর ঠিক করবেন। সাধারণত ন্যূনতম এক দিন থেকে সর্বোচ্চ এক
সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক তৃতীয়াংশের যোগদান এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ঘোষিত সিদ্ধান্তও যদি সাধারণ
সক্রিয় সদস্যদের
প্রবল আপত্তির কারণ হয় তবে, তা আবার এডমিন গ্রুপ
পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। কিন্তু কোনো এডমিনই এডমিন গ্রুপের ভেতরের বিতর্ক বা ভিন্ন মতকে প্রকাশ্যে নিয়ে
আসবেন না। অন্যথা এডমিন গ্রুপের উপরে সদস্যদের আস্থা বলে কিছু থাকবে
না।
৫) এই গ্রুপের যেটুকু মর্যাদা দাঁড়িয়েছে তার প্রথম এবং প্রধান কারণ এখানে বাংলা হরফের ব্যবহার হয়ে থাকে। বাংলা
হরফে লেখা থেকে শুরু করে গ্রুপের প্রতিটি নীতিমালা কেউ দুই একবার অজ্ঞাতে
এবং অক্ষমতার
দরুন লঙ্ঘন করতে পারেন। কিন্তু যদি
এডমিন বা সদস্যরা বলে দেবার পরেও রোমানে লেখা চালিয়ে যান এবং মনে হয় উদ্দেশ্যমূলকভাবেই
কেউ নীতিমালা ভঙ্গ করছেন, মেনে চলতে
অস্বীকার করছেন, এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যেই
গ্রুপে এসে যোগ দিয়েছেন, তাঁর সদস্য-ভুক্তির আগেকার বিষয় নিয়ে বিবাদে মেতেছেন , তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আর রোমানে লেখা এর পরবর্তী যে কোনো মন্তব্য, বিষয় আপত্তিকর না হলেও তৎক্ষণাৎ মুছে ফেলা হবে।
এই গ্রুপের মর্যাদার দ্বিতীয় কারণ, এটি কোনো বিষয় বিশেষে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখে নি। এখনো পূর্বোত্তরের উপন্যাস কিংবা
প্রবন্ধ সাহিত্য নিয়ে কাজ করবার দ্বিতীয় কোনো গ্রুপ গড়ে ঊঠে নি। যদিও সামাজিক
বাস্তবতা মেনেই রাজনীতি কিংবা ধর্ম নিয়েই বেশি আলোচনা হয়ে থাকে। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যক্তি আক্রমণ, অশালীন উক্তি, সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক পোস্ট, বা
রাষ্ট্রের আইন
অনুযায়ী বেআইনি
বলে বিবেচিত হতে পারে এমন পোস্টও নজরে পড়ে। সেরকম হলে তার বিরুদ্ধে তৎকালীন ভিত্তিতে যেকোনো এডমিন ব্যবস্থা নিতে পারবেন। কিন্তু ক) তার আগে তিনি পোস্ট দাতাকে
পোস্ট সরিয়ে দিতে বা এমন না করতে সতর্ক করবেন। খ) এডমিন গ্রুপে তথ্যটি অনুমোদনের জন্যে জানাবেন । গ)জরুরি ভিত্তিতে নিজে ব্যবস্থা নেবেন। ঘ) তার নেয়া ব্যবস্থা এডমিন গ্রুপ অনুমোদন না জানালে তিনি সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়ে তাঁর
ব্যক্তিগত উদ্যোগে নেওয়া সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে রাজি
থাকবেন।
৬) গ্রুপে কিংবা ব্লগে যেকোনো লেখা বা পোস্টের
বিরুদ্ধে যে কোনো সদস্য অন্য যেকোনো সদস্যের বিরুদ্ধে বা একক এডমিন বা পুরো এডমিন
গ্রুপের বিরুদ্ধে যে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করতে পারবেন। কিন্তু সেরকম যেকোনো অভিযোগই
এডমিনদের ট্যাগ করে জানাতে হবে। কিন্তু যেহেতু, আন্তর্জালের ব্যাপ্তি ঘরোয়া
আড্ডার চেয়ে অনেক বেশি, কেউ এখানে
মুখোমুখি নির্দিষ্ট স্থানে বা কালে বসে নেই, তাই সিদ্ধান্ত নেবার জন্যে বা সেটি জানাবার জন্যে এডমিনদের সময় দিতে হবে। এডমিনদের
উপরে আস্থা রাখতে হবে। এডমিনরা যেহেতু সদস্যদের দ্বারাই মনোনীত, তাই তাদের প্রতি অনাস্থা মানেই গ্রুপের প্রতি অনাস্থা। এডমিনরা এই নিয়ে আলোচনা করে
সিদ্ধান্ত জানালে এবং সেটি অভিযোগকারীর ইচ্ছের পক্ষে বা
বিপক্ষে যাক—তিনি মেনে নিতে বাধ্য থাকবেন।
৭) কেউ সদস্য ভুক্তির অনুরোধ
জানালে এডমিনদের যেকেউ সদস্য হিসেবে অনুমোদন জানাতে পারেন। মানে গ্রুপে/ব্লগে নিতে পারেন। তবে তার আগে নিশ্চিত করে নিতে হবে তিনি বাংলা লিখতে জানেন কি না, এবং তাঁর প্রোফাইল দেখে অনুমান করে নিতে পারেন তিনি গ্রুপনীতি মেনে চলবার সম্ভাবনা আছে কি
নেই। দরকারে আবেদনকারীকে জিজ্ঞেসও করে নিতে পারেন। কারো আবেদন নিয়ে সংশয় থাকলে এডমিনরা
নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিতে পারেন। সংশয় না থাকলে কারো আবেদন গ্রহণ করা হলেও
এডমিনদের জানিয়ে দিতে হবে। গ্রুপ সাধারণভাবেই রাজনীতিকে দেশ তথা সমাজপ্রেমের অংশ
বলে মনে করে, এবং রাজনীতি আলোচনাতে কাউকে নিরুৎসাহী করতে চায় না। কিন্তু যদি বোঝা যায় কোনো
ব্যক্তি শুধুই কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রচারের স্বার্থে গ্রুপকে ব্যবহার করবার
বাইরে,গ্রুপনীতিকে গুরুত্বদেবার সম্ভাবনা কম, সেরকম ব্যক্তি পূর্বোত্তরের
হলেও তাঁকে এই গ্রুপে সদস্য হিসেবে না নেবার কথা এডমিনরা বিবেচনা করতেই পারেন। কারো প্রোফাইল দেখে যদি ছদ্ম বা #ফেক বলে সন্দেহ হয়, প্রোফাইলে যদি বিশেষ কোন
পরিচিতির উল্লেখ না থাকে সেই ক্ষেত্রে যে এডমিন অনুমোদন জানানোর কথা ভাবছেন, তিনি প্রোফাইল লিঙ্কটা দিয়ে
গ্রুপের অন্য সদস্যদের অভিমত চাইতে পারেন। বিশেষ করে
সদস্যদের কেউ একে চেনেন কি না জানতে চাইতে পারেন। ইতিবাচক
সাড়া পেলে তবেই এই ব্যক্তিকে গ্রুপে নেয়া যেতে পারে। আমরা লক্ষ করেছি, আমাদের সুপরিচিত বহু লেখক, চিন্তকও ব্যক্তিগত কারণে
ছদ্মনামের আশ্রয় নিয়ে থাকেন। তাঁদের আমরা হারাতে প্রস্তুত নই। তাই ছদ্ম নাম নিয়ে
আমাদের নীতি হবে এরকম যে তিনি এডমিনদের সুপরিচিত হতে হবে অথবা, সদস্য-ভুক্তির আগেই, এডমিনদের কাছে হলেও নিজের নাম
ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর জানাবেন, তাঁরা
আশ্বস্ত হলেই তাঁকে গ্রুপে নেওয়া হবে।
৮) প্রত্যেক সদস্যের থেকে আশা করা হবে যে তাঁরা ঈশানের পুঞ্জমেঘ এবং কাঠের নৌকা
নামের ব্লগের প্রচারে প্রসারেও সমান আগ্রহী হবেন , তথা গুরুত্ব দেবেন। প্রায়োগিক কারণেই এখন অব্দি একক ব্যক্তি সঞ্চালক ব্লগ
দুটিকে সম্পাদনা করেন বলেই, এ দুটিকে তাঁর ব্যক্তিগত ব্লগ
ভেবে উপেক্ষা করা যাবে না।
৯) লক্ষ করা গেছে যে বহু এডমিন দিনের পরে দিন ফেসবুকে বা অন্যান্য ব্লগে সক্রিয়
থাকলেও ঈশানে নিষ্ক্রিয় থাকেন, এমন কি এডমিনদের গ্রুপ
আলোচনাতেও অংশ নেন না। তাতে এডমিন হিসেবে তাঁর গুরুত্ব কমে, এবং সার্বিকভাবে এডমিনদের
দায়বদ্ধতা নিয়েও সদস্যদের মনে সংশয় জাগে। কেউ যদি ব্যক্তিগত অসুবিধের কথা
এডমিনগ্রুপে জানিয়ে সাধারণভাবেই ফেসবুকে, ব্লগে তথা আন্তর্জালে অনুপস্থিত
থাকেন, তবে তাঁকে সেই সুবিধে দেওয়া যেতেই পারে। অন্যথা কোনো এডমিন যদি টানা তিনমাস ফেসবুক গ্রুপে বা ব্লগে
কোনো পোস্ট না দেন তবে তাঁকে এডমিন রাখার কথাটি এডমিনরা পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। অন্য
কাউকে নিয়ে তাঁকে প্রতিস্থাপিত করতে পারেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার আগে
সেই এডমিনের অভিমতও জেনে নিতে হবে, তিনি অক্ষমতার কারণ জানালেই
শুধু তাঁকে প্রতিস্থাপন করা যাবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্যই, সাধারণ
সদস্যদের জানিয়ে দিতে সঞ্চালক তথা এডমিন গ্রুপ বাধ্য থাকবেন। তবে বছরের যে কোনো সময় যে
কোনো এডমিনকে চাইলেই প্রতিস্থাপন করা যাবে না, বা কোনো
এডমিন চাইলেই এডমিন গ্রুপ থেকে বিদেয় নিতে পারবেন না।
১০) প্রতি দু’বছরে একবার নীতিমালা পর্যালোচনা করা হবে। একই সঙ্গে এডমিন গ্রুপ
পুনর্গঠন করা হবে। নীতিমালা পর্যালোচনার
ক্ষেত্রে বিদায়ী এডমিনমণ্ডলী খসড়া প্রস্তুত করে গ্রুপ সভ্যদের মতামত চাইবেন।
সভ্যদের পরামর্শ ও মতামতগুলি বিবেচনা করে নীতিমালা চূড়ান্ত করবেন বিদায়ী
এডমিনমণ্ডলী। বিদায়ী এডমিনমণ্ডলী নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নতুন এডমিনমণ্ডলীর একটি
প্যানেল তৈরি করে সভ্যদের পরামর্শ চাইবেন। এক্ষেত্রেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের
অধিকারী বিদায়ী এডমিনমণ্ডলী।
১১) এডমিন
গ্রুপের সদস্যদের সাধারণ কাজ হবে সদস্যদের পোস্টের উপরে নজর রাখা,রোমান লিপি ব্যবহার সহ অন্যান্য গ্রুপনীতি লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না
সেসবে নজর রাখা। ঈশানের দুটি ব্লগ নিয়ে সদস্যদের এবং গ্রুপের বাইরের লোকজনের আগ্রহ
বৃদ্ধির চেষ্টা করা। এবং কোনো একটি ব্লগ পোস্ট নিজের পছন্দ হোক চাই নাই হোক, ফেসবুকের অন্যান্য গ্রুপে,নিজের দেয়ালে, গোগোল
প্লাসে, টুইটারে, হোয়াটস আপে, কিংবা ইমেলে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করা। দরকারে, শেয়ার
করবার সময় লিখে দিতে পারেন “ব্লগ পোস্টটি
ব্যক্তিগত ভাবে আমার পছন্দের নয়, বা এর বক্তব্যের সঙ্গে আমি সহমত
পোষণ করি না। ঈশানের সদস্য তথা এডমিন হিসেবে দায়বদ্ধতার থেকেই আপনাদের পড়বার জন্যে
এগিয়ে দিলাম।” তাতে করে গ্রুপের বাইরেও আমাদের গ্রুপের, ভাষা
সাহিত্য তথা সাহিত্যভিন্ন কর্মের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পাবে। আমাদের লক্ষ্য থাকা উচিত
পূর্বোত্তরের বাইরে আমাদের কাজের পরিচয় বাড়ানো। ধীরে ধীরে এডমিনদের কারো কারো ব্লগ
সম্পাদনার কাজেও হাত বাড়িয়ে দেওয়াও উচিত। এডমিনদের মধ্যে শ্রমবিভাজনের কথাও ভেবে আপাতত নিচে উল্লেখ করা মতো দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হলো। কিন্তু দায়িত্ব সমবেতই রইল।
১২) সমন্বয়কের
কাজ হবে এডমিনদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা।
১) মৃন্ময় দেব। (গ্রুপ শৃঙ্খলা এবং রোমান হরফ নিয়ন্ত্রণ)
২) দেবাশিস ভট্টাচার্য ।(গ্রুপ শৃঙ্খলা এবং রোমান হরফ নিয়ন্ত্রণ)
৩) সেলিম মোস্তফা (সদস্য অনুমোদন এবং রোমান হরফ নিয়ন্ত্রণ )
৪) প্রীতিভাজন ব্যক্তি। (সদস্য অনুমোদন এবং রোমান হরফ নিয়ন্ত্রণ )
১) মৃন্ময় দেব। (গ্রুপ শৃঙ্খলা এবং রোমান হরফ নিয়ন্ত্রণ)
২) দেবাশিস ভট্টাচার্য ।(গ্রুপ শৃঙ্খলা এবং রোমান হরফ নিয়ন্ত্রণ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন