“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

কবি গৌতম চৌধুরীর কবিতার বই 'আখেরি তামাশা' এবং একটি সাক্ষাৎকার

গৌতম চৌধুরী আমাদের প্রিয় কবিদের একজন। পশ্চিম বাংলার বাসিন্দা। সত্তরের দশকে ছোট কাগজে কবিতা লিখে আত্মপ্রকাশ। এখনো লেখেন মূলত ছোট কাগজেই পশ্চিম , পূব , ঈশান কিম্বা ভূগোল জুড়ে  যেখানেই বাংলা কাগজে লিখতে ডাক পান সেখানে। এক কালে 'অভিমান' নামে একটি ছোট কাগজ বের করতেন। দীর্ঘদিন বের করেছেন। সেই গল্পই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শুনিয়েছেন 'দাহপত্র' পত্রিকার সম্পাদক কমল কুমার দত্তকে। বন্ধুত্বসূত্রে সেটি আমাদের হাতে এসে পৌঁছুলে পরে দেখি, শুধু তাঁর গল্প নয়--তাঁর সময়ের পশ্চিম বাংলার কবিতাবৃত্তের ইতিবৃত্তেরও বহু অজানা কথা জানা হয়ে যায়। এখন আর কাগজ করেন না। তিনি বলেছেন,'কবিতার কাগজের সঙ্গে তারুণ্যের একটা যোগ থাকা দরকার, নাহলে ক্রমে সেটা বড় ভাইদের কাগজ, আরো পরে কাকুদের কাগজ হয়ে যায়। তেজী তরুণরা তেমন কাগজে লিখবেন কেন?" 
  
   পূব বাংলার প্রতি তাঁর একটি আলাদা আকর্ষণ আছে। সেই সুবাদে ঈশান ভারতের খবরও নিয়মিত রাখেন। অনুমান করতে পারি তাঁর মা ঢাকার কাছের মানিক গঞ্জের মেয়ে। সেই সুবাদে সেই ভূমিকে তিনি 'মাতৃভূমি' বলেই মনে করেন। সেখানকার বিচিত্র বাংলাকে 'মাতৃভাষা'। 'শুদ্ধ' বাংলার প্রতি তাঁর এক ধরণের যথার্থ ঊষ্মা আছে। তাই কবিতাও লিখে থাকেন বা লিখে  ফেলেছেন। সেগুলো বই হয়ে বেরিয়েছে  'আখেরি তামাশা' নামে ২০১৩র বইমেলাতে। দু'টোই এখানে রইল। সাক্ষাৎকার নিজেই কবিমানুষটিকে চেনাবে, আর কবিতা তাঁর কবিপ্রতিভাকে। আমরা আর এর বেশি বলি কেন? এখানেই পড়তে পারেন নিচে। পর পর দুটোই। আপনার কম্পিউটারের পুরো পর্দা জুড়ে। ইচ্ছে হলে নামিয়েও নিতে পারেন। শুধু আপনার দরকার পড়লেও পড়তে পার আডোব ফ্লাস প্লেয়ারের। সেটি এখান থেকে  নামিয়ে নিন।

কোন মন্তব্য নেই: