“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট, ২০১২

দখল চাই আকাশটার


কটা বার্মিজ রাইটিং স্ট্যান্ড চাই আমার। এক আকাশ মেঘ চাই সঙ্গে। ইউক্যালিপটাস গাছের বল্কল হলে আবহাওয়াটা আরও জমতে পারে। সঙ্গে কিছু দিশী স্কচ চাই। পাঠ নেবো তোমার কাছে বিপ্লব এবং ভালবাসার।

পাহাড়, নদী, আকাশে আজকাল পিঁপড়েদের সার বাঁধা লাইন। পথ খোঁজে পিঁপড়ের দল আকাশের দুধ সাদা রাস্তা ধরে স্বর্গ প্রাপ্তির। বিশ্বাস নেই আঁখের জমিনেও।

হোম ওয়ার্কে অনুশীলন সমিতির ইতিহাস। পাহাড়ের স্বাধীনতা চাই নিঃশর্তে। চে গুয়েভারার মতো মৃত্যু কাঙ্ক্ষিত নয় আমার। আগুন রঙা পাহাড়ের জন্য বেঁচে থাকব হাজার বছর।এরপর থ্রি নট থ্রি বন্দুকের গুলি পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে, সোজাসুজি মাথার খুলি কে তাক করে। এফোঁড় ওফোঁড় করে দিক পাহড়ের সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গকে। থিঙ্ক ট্যাঙ্কে একটা নিঃশব্দ বিস্ফোরণ একদিন। সেই পাহাড়েই তুমি খুঁজে দেখো পেয়ে যাবে আমার হৃদয়ের অস্তিত্ব।

এরপর, তুমি এসো প্রিয়তমা, কিছু চোর কাঁটা আমার ধ্বসে পড়া বুকের নরম জমিনে পুঁতে দিয়ে জানান দিয়ো, নতুন সৃষ্টির।নিহত হয়েই তোমার কাছে বেঁচে থাকার সুখ।

মুক্তি চাই সবুজ সীমাহীন গহীন কোন সুখী গৃহকোণে। যেখানে সমুদ্রের ঘরকন্নায় মেতে উঠে কোন মায়াবী নারী।আমার আস্ত পাহাড়ি আকাশটাই চাই। পিঁপড়ের দলে ভিড়ে পাড়ি দেব সেই সমুদ্র মন্থনে।একদিন যন্ত্রণার নীল রস সিক্ত করে তুলবে সীমাহীন এক বৈশাখী রাত্তির কে। সেদিন আমি ঘোষণা করবো বিপ্লবের।

একটা নীল নদ চাই আমার। পিরামিড নয়। বালির উপত্যকায় বসে পাঠ নেবো মিশরীয় সভ্যতার। ছুঁয়ে দেখব জলহীন উপত্যকার হৃদয়। রাজা রাণী হয়ে ভালবাসব মিশরীয় উপত্যকায় ছড়িয়ে থাকা স্ফটিক দানাকে। সযত্নে রেখে দেব তোমার আঁচলে বেঁধে। প্রথম প্রহরে তোমায় উপহার দেব মিশরের উপত্যকা।
এসো মিশে যাই নীল উপত্যকায় আরেকবার। জলমগ্ন করি জেহাদি ভূমিকে।
ক্লিওপেট্রার মতো বিষাক্ত হয়ে বেঁচে থেকো তুমি। আমার মৃত্যু হোক বারবার তোমার সমুদ্রের ঘরকন্নায়।আম পাতার বাঁশীতে সুর তুলে আমি গাইবো পাহাড়ি উপত্যকার গান। কলঙ্কিনী ক্লিওপেট্রা, আমায় মৃত্যু দাও। সভ্য মিশরীয় মৃত্যু। একটা বার্মিজ রাইটিং স্ট্যান্ড চাই আমার।

বিপ্লব শুরু হবে কাল অথবা পরশু তোমার জঙ্ঘা থেকে। রমজানের চাঁদ দেখাবে আলো। আর তুমি আলেয়া।
একদিন কোকড়াঝারের জঙ্গল দখল নেব দেখে নিও তুমি। উপহার দেব তোমায় শেষ প্রহরে প্রিয়তমা।

এরপর হাসবে এবং অনুচ্চারিত শব্দে আবারও বলবে জানি তুমি, ভালোবাসি... ভালোবাসি... ভালোবাসি।
ঠাণ্ডা কবরে সেই ভালবাসাকে যত্ন করে রাখি বারবার, প্রতি প্রহরে প্রহরে। এভাবেই বেঁচে আছি আমি প্রিয়তমা তোমার জন্যে, এই পাহাড়ি লবণ আর লাল মাটির ভাত খেয়ে।

1 টি মন্তব্য:

সুশান্ত কর বলেছেন...

অনেক দিন পরে যে! দীর্ঘপ্রস্তুতি বুঝি! আমিও ভাবছিলাম। কোকড়াঝাড় তোমাকে ভাবালো না , এটা হতেই পারে না!