অকাব্যযুগ
প্রাণে যে আর দীপ জ্বলে না
সলতে গেছে শুখে
শতাব্দকাল কেটে গেল
এই কথাটি লিখে
ধূমায়মান পূঞ্জ যখন
বড়াইল পাহাড়-চূড়ে
বাদল যখন তাঁবু ফেলে
চাতলা হাওর জুড়ে
তখনো, হায় পাথর হয়ে
কীসের অভিশাপে
কাল কেটেছে অপলাপে
কিংবা কফিকাপে
যে তরুটি অপুষ্পিত
পচ ধরেছে ডালে
মিথ্যা তাকে সাজান আর
কাগজফুলমালে
যে জরতী দৃষ্টি দিলে
বাগান শুখা হবে
কেন তাকে মিথ্যে ডাকা
বিবাহ- উৎসবে
আকাশ যখন শ্যামরমণীর
গর্বস্ফীত স্তন
কাব্যবিহীন কাব্য কেন
করছ নিবেদন
প্রাণের জল শুকিয়ে গেছে
মনে জৈষ্ঠতপে
শতাব্দকাল কেটে গেল
সেই কথাটি জ’পে ।
---- ---
লক্ষ্মীপূজা
আমার ভাণ্ডার তুমি অফুরন্ত কর’
নিকিরীর মত আমি বাঁচিতে চাহিনা।
অথৈ প্রান্তরে ঢল-জ্যোৎস্নার মত
বিপুল সাম্রাজ্য দাও। এটুকু প্রার্থনা।
উহারা সামান্য ধনে দিন কাটাতেছে।
আটা খায়, ছাতু খায়, বাসী অন্ন খায়।
অন্ন বলে মিথ্যা তারা পাথর চিবায়,
অথবা না খেয়ে, দেখ’, ঢেঁক তুলিতেছে।
আমি কি হব মা তুষ্ট, ভুলিব উহাতে?
শ্রীহীনের সঙ্গে কেন বসতি করিব?
অক্ষয় পেটিকা চাই। চাহিবার মত
চাহিতে জানে না তারা , করে ইতস্তত।
মাঠের চাঁদিনী আমি। অসীম প্লাবিত।
অলক্ষ্মী পূজুক তারা, হতভাগা যত।
--- ---
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন