“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১২

প্রেম

(১)
সুপ্ত প্রেম
আমার মেঘলা আকাশ তোমার স্পর্শে হয়ে উঠে উজ্জ্বল,
শত কাজের ভিড়েও তোমার অস্তিত্বের  অনভুতি শিহরণ জাগায়।
দুরত্ব আর অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে না,
বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে, তবু বিরহের চিহ্ন মাত্র নেই।
তোমাকে খুঁজে পাই চোখের পাতায়
,
অন্তরের খাঁজে খাঁজে তোমার উপস্থিতি।
কখনও বলা হয় নি তোমাকে,
হয় তো বলার প্রয়োজন ও নেই।
নেই কোনও প্রত্যাশা, পাওয়ার খুশী, হারানোর ভয়,
কল্পনার আকাশে দেখা হয় প্রতিবার,
যেখানে শুধু তুমি আমি পাশাপাশি,
সারারাত তারা গুনি।
জানি আকাশ আর পৃথিবীর মাঝে দুরত্ব গভীর ,
তবে তারই সাথে আছে দিকচক্রবালের উপস্থিতি। 

(২)
ব্যক্ত প্রেম
ডাইরির পাতায় পাতায় অলিখিত কাহিনী ,
প্রতিটি তারিখে এক এক করে হারিয়ে যায় দিনেরা।
জীবনের কৌটোতে  ভরে রাখা ফ্যাঁকাসে  রঙে সবুজের হাল্কা ছোঁয়া ,
স্বপ্ন দেখার দুঃসাহস করব বলে ভাবিনি কখনো,
অথচ স্বপ্নেরা সাত রঙা রামধনু আঁকে ,
মনের আকাশ জুড়ে। 
মন উদাস করা বিরহ বিধুর মেঘ,
অনুভবে যক্ষের করুন বেদনা ।
হারানোর ভয়ে ত্রস্ত হৃদয় ,
পেতে চায় তোমায় চির আপন করে।
বৃষ্টি শেষের সোঁদা গন্ধে মাটির বুকে আপ্লুত আকাশের প্রেম ,
নাম না জানা পাখি, নিঝুম রাতের বুকে লিখে চলে প্রেমের কবিতা।


কোন মন্তব্য নেই: