“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১২

আমার মুক্তি আলোয় আলোয়...


যে মেয়েটি আজ রাতে পতিতা পল্লীতে তার শরীর শপে দিয়েছে সেও গতরাতে জেনেছিল আজ স্বাধীনতা দিবস।
আজও সক্কাল থেকেই সে জানে আমরা স্বাধীন।
একটি পতিতার শরীর বেচা আর আমার কবিতা বেচার মধ্যে কোন পাপ নেই।
তাই আমি এবং আমার দেশের পতিতা আমরা সব্বাই ভালো আছি। ভালো নেই শুধু ও'রা, যারা বিক্রী হয়ে গেছে বারবার প্রকাশ্যে।
তারাই আবার লাইভ দেখায় বঙ্গারু লক্ষণের ঘুষ নেয়ার ছবি অথবা জারোয়া সম্প্রদায়ের মানুষগুলির নিরন্ন শরীরের উদোম নৃত্য।
আমি বিশ্বাস করি, একজন পতিতা যেভাবে একসময় ঘুমিয়ে পরে আমিও সেভাবে ঘুমিয়ে পড়তে পারি। একজন কবি যেভাবে শুধু লিখে যেতে পারেন
আবহমানকাল ধরে, আমিও পারি। আমি বিশ্বাস করি অলকানন্দাকে, কোকরাঝাড়ের বিপন্ন মানুষদের, পার্কস্ট্রীটকে, ত্রিপুরার বধ্যভূমি জারুলবাছাইয়ের লাল মাটিকে, মণিপুরের শর্মীলা চানুকে, আমাদের স্বাধীনতাকে।
আমার মুক্তি আলোয় আলোয় ... ঘাসে ঘাসে আর নিরন্ন মানুষগুলির নীল শব্দ বেঁচে।
কার, 'উই আর লিভিং ইন গুড টাইম...'

(C) Picture : ছবি

1 টি মন্তব্য:

soumen guharoy বলেছেন...

মিত্র্রপক্ষের বিশ্বাস জারিত এই সংক্রামক সময়ে আমার অজান্তেই আমি পন্য হয়ে যাই অর্থনীতির উদারতায় বিশ্বায়নের তত্ত্বে...........