“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৫ আগস্ট, ২০১২

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে



                         ।। কল্যাণব্রত চক্রবর্তী।।













সুখের কথা বলগো সখি সুখের কথা বল
ছিল আমার অতল দিঘি শরীরী বল্কল।
ছিল অঢেল জলস্রোতে নোঙর ছেঁড়া বাসা
মায়ের গহন ছায়ার ভেতর গুল্মলতার ভাষা,
শ্যামাঙ্গিনির ষোল বছর, গোঁসাইথলে হাঁটা
সত্যবানের তরুতলে আরাম সুতোয় কাটা,
আর সমস্ত হিজিবিজি হঠাৎ বৃষ্টি এল
সিদুঁর ধুয়ে মাথার চুলে হাওয়ায় এলোমেলো।
কেমন আছেন বাসন্তীদি? অলীক ছেলেখেলায়
খয়েরি-সাদায় শাড়ির আঁচল আলতা মেখে ঠোঁটে
বলেছিলে খুচরো ফুলে রাধা দেখবি আয়
আমার কিন্তু হারা-জেতায় ভয় ছিল না মোটে,

ফণীদা-রা কেমন আছেন? মহিন , কুন্দ পিসি?
কে আর এমন গাইবে ভাসান গ্রহণ লাগা রাতে,
বুকের ভেতর চমকে উঠি কখন ডাকে নিশি
এখন বসি রক্ত গড়ায় বিন্নি ধানের ভাতে।

সুখের কথা বল্ গো সখি সুখের কথা বল্
স্বপ্নে আমার তুলাশিমূল নিঃশ্বাসে টলমল।

কোন মন্তব্য নেই: