“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

দুটি কবিতা


তা ধিন তিনা
………………………………………………………………….












মাদের হাতেই ছিল  সাজানোর দায়িত্বভার
ডিজনির বাগান জুড়ে   ভুতুড়ে চিত্রমালা ।

লিকপিক জ্যান্ত হয়ে   সদাশিব ধরলো কী রূপ !
তিন ইটের উনোন ঘিরে  ফুটপাত যাচ্ছে ভরে
কে ছেলে কাঁদছে ক্ষুধায়  কে মেয়ে নামছে পথে !
পথ খুব খুবলে নিলে      সারারাত ফুপিয়ে কারা
ভেজালো ময়লাবালিশ    বলো তো পেপসি কোলা !
বলো ভাই ইন সুজুকি    কম দামি করুন রঙে
বসে আঁকো বাচ্চারাসব আঁকে যে রঙিন ছবি
সে ছবির ঠোঙায় কারা  কিনে খায় ঝালমুড়ি
আর পার্কে গ্যাঁজায় বসে থিয়েডোর বাখ দেরিদা
          সুবিমল এন্টি নভেল ।
ঊহাদের হাতেই ছিল মোটা ব্রাশ রঙের ডিবি
লিখেছে মুক্ত দশক   মুছে কে লিখছে এখন
ছাপ দাও , ছাপ্পা ও ছাপ ।

ছাপ দিই , দিতেই হবে   আমরা তো সামান্য নই
দরকারে ছড়াই পথে       বাতাসা আর শুয়া খই ।
হরি বোল , বল হরিকে    কোন পায়ে ধরবো কাকে ,
দুই পা বাড়িয়ে সবাই      যেতে চায় জয়ের দিকে ।

জয়ে ভয় নেই আমাদের    ভয়ে জয় লুকিয়ে আছে
আমাদের মন্দ ভালো        ঠাকুরের পায়ের নিচে ।
ঠাকুরের পা-ই বা কোথায়   তিনি তো অপাণিপাদ
দরকারে ছড়িয়ে রাখেন      ফড়ফড়ি ঝরোখা ফাঁদ ।
ফাঁদে রোজ পড়ছি , পড়ি
উপরে ঘুরছে ছরি
নিচে সেই আমরা কজন
জড়িয়ে থাকছি শুধু
স্বজনের রুগ্ন দেহ    সজনীর বুকভাঙা শোক ।

আমরা তাধিন তিনা    বেঁচে রোজ থাকছি কিনা
বুঝি না , চাইছি তবু    আমাদের জন্য কিছু
সাজানোর ব্যবস্থা হোক ।



খাদ্যাখাদ্য
……………………………………………………………..
পল্লব ভট্টাচার্য

আকাশ বাতাস ভরছে ক্ষুধায় , কানছি আমি , কানছে মেয়ে
শূন্য দিয়ে ভরাচ্ছি পেট , কানছে মা ও কানছে মেয়ে ।

হং যং বং রং লং সব দিচ্ছি তোকে , পেট পুরে খা
পেট পুরে খা মেয়ে আমার , মাথায় রেখে ক্ষুধার্ত পা ।

ছাইপাশ সব গিলছি আমি , রক্ত চুষছি , স্তন্যধারা
খেয়ে দেয়ে তাগড়া হলে , তোর বুকে মা থাকবো খাড়া

কোলে নিয়ে জুড়াও শরীর , সহবাসে তৃপ্ত করো ,
কুসুম দিচ্ছি , কুসুম দিচ্ছি , পাতালভান্ড তুলে ধরো ।

পর্দা ফাটছে , বিছনা উড়ছে , কানছি আমি কানছে মা
বামুন আমি পৈতে খাচ্ছি , শূদ্রাণী তুই আমায় খা --



কোন মন্তব্য নেই: