“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১৮

নানান রঙের দিনগুলি





















।। সিক্তা বিশ্বাস ।।


সেই যে ছিল কলেজ-দিনের মস্তির আড্ডাগুলি  
চায়ের পেয়ালা ,রকবাজি আর হৈ-হুল্লোড়ের দিনগুলি
সবাই মিলে আমেজে ভেসে গাইতাম
  যখন গান 
মনের টানে মাতাল নেশায় জড়িয়ে যেতো প্রাণ
•••
দিনের শেষে নিয়মের বশে ফিরতাম
  যখন ঘরে ,
তখনও যেন আড্ডার রেশ থাকতো মনের 'পরে
  •••
হঠাৎ কালের চাপের তোড়ে সবাই ছিটকে গেলাম !
হাতেগোনা
  জনা কয়েক সাথী শুধু একসাথে পড়ে রইলাম l
সঙ্গী-সংখ্যা কম হলেও চেতনাতে নেই কোন হেরফের !
ইয়ার্কি ,আড্ডা,খুনসুড়ি সহ রইলো সব উত্তেজনার ভিড় !
প্রতিদিন কতো যে প্রহর নিতো কতো প্ল্যান আর প্রোগ্রাম !
কতো খুনসুটি ,কতো ইয়ার্কি আর ভাষণের উদ্দাম !
মনের মাঝে লেগে থাকতো যেন নিত্য বসন্তের রং
•••
একে অন্যের প্রাণের দোসর করতো কতো না ঢং !
বিন্দাস ভাবে যায় না যে দিন স্বপ্নেও ভাবিনি সেদিন !
কোথা দিয়ে যে পড়লো ফাঁকি !
  হারিয়ে গেলো কলেজদিন !
এরপর ,বিশ্ব বিদ্যালয়ের দৌড় যে আরও ভিন্ন স্বাদের ---
কে যে শিক্ষক ,কে যে ছাত্র আড্ডাস্থলে সমীক্ষণ বড় ফাঁদের !
যাক , 'ময়ূরভঞ্জে'র সামার হাউসে হলো শুরু আড্ডার আবার
•••
দেখতাম সেথায় , গ্রীষ্মকালের ধুম দুপুরে ভিড় রূপালী তারকার !
বুক ফুলিয়ে ভাবতাম কেবল ,এরা আমাদেরই একজন !
অটোগ্রাফ-লাইনের বহর দেখে মনে হতো শুধু
  --
ধন্য ! এরা আজ বড় মাপের ! সত্যিই
  মানি গুণীজন ! 
স্বপ্ন দেখতাম আর ভাবতাম , বোধহয় এক-দু'জন
 
'বো
  এদেরই মতো রূপালী- পর্দার মানি-গুণীজন •••
অটোগ্রাফের লম্বা লাইন থাকবে নিশ্চয়ই আমাদের‌ও পিছন
•••
ভাবতে ভাবতেই
  অলীক -স্বপ্ন  কোথা দিয়ে যে হলো হাওয়া !
বিধির বিধানে নির্দিষ্ট কারণে শুধু
  চেষ্টা প্রতিষ্ঠিত হতে চাওয়া !
জীবন যে ভাই , এক রঙ্গমঞ্চ কেবল সংঘর্ষ আর হাসি-কান্নার !
ঈপ্সিত বাস্তবকে স্বপ্নে রূপান্তরই যেন জীবনের উপহার !
                         ********************
#ঝোড়োমেঘ#
    ৪ -৩ -১৮ ইং,
  *শিলং*  l

কোন মন্তব্য নেই: