“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮

রেওয়াজ

।। অভীক কুমার দে ।।



       
(C)Image:ছবি

     ত দিনগুলোর পর কারো মনোঘরে ভাবনাখেকোর চলাচল। যে কক্ষ সাহিত্য- বিদ্যমানতায় ব্যস্ত, যে টেবিলে বসে শব্দের রেওয়াজ শুনতো 'আমি', এখন বিকৃত অবয়বের মুখোমুখি ঘরোআয়নায় !
শরীর:- আমি যদি সাগর তবে 
সব স্নায়ু নদী, 
শূন্য খাঁচা মিছে ঘুড়ি 
মন আকাশপদী।
মন:- সুখদুঃখ আমার
উৎপীড়ক তুমি,
ভেতর তোমার
ধৈর্য বুঝি আমি।
স্নায়ু:- কেন্দ্রমজ্জা হয়ে চলছি।
পরিবর্তিত বিকার আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কোথাও,
তখন থেকেই জ্বলছি।
মন:- দোষ কার ?
শরীর:- অগ্নিগর্ভ জানে। বিভাজন শিখেছি যখন তুমিও ছিলে মন। তফাত শুধু তুমি ঘুমোচ্ছিলে তখন।
স্নায়ু:- তখনও ছিলাম, এখনও আছি মনোসংযোগে; শরীরে শরীরে শাঁস।
মন:- দেখো, শব্দবোধ কমে যাচ্ছে আমার।
শরীর:- আমার শব্দ থেমে গেলেই তোমার বোধ যাবে।
স্নায়ু:- জানি। ভেতর অভিধান রেওয়াজশূন্য রোগী।
.
নিজের কাছে আমিকে শব্দশূন্য হতে দেখছে কেউ, যদিও একজন অবোধ তবলচি এখনও ঘর ছেড়ে যায়নি।


কোন মন্তব্য নেই: