বন্ধুরা, আমার দীর্ঘদিনের সাথী
শোকের কোন কারণ নেই আজ।
কেন মিছিমিছি তোমাদের এত দীর্ঘশ্বাস ।
যে রাসায়নিক বীজানু আমার শরীরে
অতি যত্নে ছড়িয়ে দিয়েছে তারা ,
বহুদিন আগেই তার পেয়েছি আভাস ।
তাতে মৃত্যু আমার স্থির ছিল প্রায়
ছিল সেই শুভক্ষণের শুধু অপেক্ষা।
বছরের পরে মাস, দিন তারপর---
তারপর আজ সেই ব্রাহ্মমুহূর্ত ।
আজ অন্ত সেই প্রতীক্ষার ।
মৃত্যুকে আমি ভয় পাই নি কখনো
কোনদিনই ভয় ছিল না আমার
জন্ম যার হয়েছে , মৃত্যু স্বাভাবিক
তাই যখন জানতে পারি প্রথম সেদিন
কর্কটের কুদৃষ্টি পড়েছে আমাতে
সেদিনই জানি আমি সাধু সাবধান।
মৃত্যু দুয়ারে প্রায়, তারই ফরমান ।
কর্কট রোগটা শুনেছি ভীষণ খারাপ
ভেতরেতে নিঃশব্দে সে কাজ করে যায়
মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে প্রভাব
আমার দুটো স্তনেই সে গেঁথেছে শিকড় ।
কাঁদছে সন্তানেরা , হায় অভুক্ত কোলে,
তবু লড়াইটা দিয়েছিলাম শক্ত হাতে ।
দুর্ভাগ্য আমার,
ক্রমাগত আফিঙের শক্ত নেশায়
আমার সকল অঙ্গ আজ বিকল প্রায়।
অসম যুদ্ধ শেষে বিজিত সেজেছি ।
যুদ্ধবন্দি আমি , হব শূলবিদ্ধ এবার ।
মৃত্যুকে কোনদিনই করি নিকো ভয়।
যাবার আগে শুধু বলে যেতে চাই
যারা বেঁচে রইলে, সাবধান ভাই
ভালো রেখো , ভালো থেকো, আর
নিজেদের বাঁচিয়ে রেখো ।
তোমাদের মঙ্গল হোক, আর -----
আর , বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন