“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮

মনোসংলাপ

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি

কটা বিশ্বাস উত্তেজকের মতো কামড়ে থাকে ভেতর। ভেতরে কোনো ঘুঘু ডাকা দুপুর। জ্বালাময় রোদ এসে গায়ে পড়লেই আমার টানটান শরীর উত্তপ্ত হয়। দুপাশে গাছেরা ডালপালা বাঁকিয়ে ঠাণ্ডা করতে চাইলেই আমার বেঁকে যাওয়া শরীর আরো বেশি বেঁকে যায়। আমি আমার মতোই চলতে চাই, অথচ কেউ বোঝে না ! কেন ?
পথ:- কেউ চাইলেই চলন সোজা হয় না। লক্ষ্য ছুঁতে গেলে পথ সুগম হতে হয়।
রাস্তা:- আমি নিজেই নিজের চলন জানি। সুগম কিংবা দুর্গম যাচাই করতে করতে পাথর জীবন অবাঞ্ছিত হবে অসময়ে।
মত:- নিজের বুকে হাত রেখে দেখি-- বিচারক আমি মাথা নিচু করি; কোথাও... 
সিদ্ধান্তের কলম কখনও ছিটকে যাবে মূল্যায়নের কাঠগড়ায়।
পথ:- ঠিক তা-ই।
রাস্তা:- তবে ! এমন সুদীর্ঘ শরীর, এমন সহ্য ক্ষমতা, এমন এমন অনেক কিছু.... 
কেন ?
মত:- উপকরণ মাত্র।
পথ:- সঠিক সিদ্ধান্ত যদি না থাকে সুদীর্ঘ শরীরও অপ্রয়োজনীয়। সহ্য করতে করতেই অক্ষমতা জড়িয়ে ধরবে শরীর।
রাস্তা:- উঁচু- নিচু পাহাড়ের ভাঁজগুলো এদিক- ওদিক ঠেলে বাঁকা চলতে বাধ্য করবে।
মত:- ঠিক। মতামত যদি সহমত হয় সহমর্মিতায়, যত কঠিন কিছু সরলতায় সমর্পণ।
.
ঘাড় উঁচিয়ে নয়। আমি আমার মতোই চলতে চাই। খাড়া পাহাড়ি ঢাল, উপত্যকার ব্যঙ্গ, মাটির সরণ এসব কিছুই মাথায় থাকে না। মাথা থেকেও মনের সোজা পথ বেঁকে যায়। এমন বেঁকে যায় বলেই বুঝি মনের ভাঙন দেখি অনেক... !


কোন মন্তব্য নেই: