।। অভীক কুমার
দে ।।
বুকের
অতৃপ্ত বাতাস 'আহ' নিয়ে আসে দিনের শেষে। রাতের
ধারা মুছে দেয় আলো। অবুঝ ছায়াপথ ঘোলাস্বপ্নে আকাশ সাজায়। অথচ বাইরে ভিন্ন শূন্যতার
ভিড় এবং ভেতরে স্বপ্নজাগা ভোর। এখানেই বাস করে নীরব আর সরব অনুভূতি।
ভেতর:- কবিতা কি শুধুই উপশমের মনোপারদ ?
বাহির:- বর্ণময় কর্মজীবনের বর্ণনা, তোমার
চারদিকের আমি, আমি আর আমি যেমন। তুমি যাকে তুমি বলো।
দৃশ্য:- রূপ, রঙ,শব্দ,
ছন্দ, ব্যথা, আনন্দ,
ভয়, অশ্রু, সুখ এসব গায়ে
মেখে চেনা বকের ডানায় ছড়িয়ে থাকা আকাশ অথবা তরল নদীর সাগরসুখ।
ভেতর:- যদি প্রতিফলকের ভাষা না বোঝা যায় ? যদি
উত্তেজক অন্ধ চোখে কিংবা অন্ধ স্নায়ুতে ? দর্শনক্ষুধায়
ঝাঁপিয়ে পড়ে যদি কাল্পনিক সীমানা ?
বাহির:- মানে ?
দৃশ্য:- রাতের বাহারি ভাষার মতোই গোল্লাছুট, অন্ধকার।
লক্ষ্যবস্তুর অভিমুখে অনুমানের অনুভব।
ভেতর:- একটি নদী সাগর চেনে,
একটি নদী আকাশ।
জলের তরল গোপন জানে,
শূন্য চেনে বাতাস।
বাহির:- জানি। দৃশ্যেরই প্রতিফলন রূপকের ভেতর।
দৃশ্য:- তরঙ্গের পর তরঙ্গে কখনো কান্নার সুর, কখনো
সুখের গুল্ম জাগে।
.
শব্দ ও নিঃশব্দের ভেতর। একখণ্ড দ্বীপ। বাইরের বর্ণনায় মিশে উর্বর
জমি। শব্দের শিশু বড় হয়, আকাশ ছোঁয়। কবিতা এক জীবন- মিছিল।
কবি তার জমি চেনা শিশু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন