“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮

মুখাগ্নি

।। সুপ্রদীপ দত্তরায়।।













মাকে একমুঠো আগুন দেবেন
আমি আমার মুখাগ্নি করবো।
আমার এই মুখটা 
এখন আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই,
আমার বুক আর মুখের মধ্যে 
বিস্তর ফারাক । অনেকটা সেই 
বাবু বাজারের বাইজীর মত,
লোকে বলে অনেক বড় শিল্পী 
আসলে -, না থাক সে প্রসঙ্গ ।
আমি যা বলি তার অনেকটাই মিথ্যে 
নিজের স্বার্থে যখন তখন যাকে তাকে 
প্রয়োজনে অপ্রয়োজনের ফাঁকে 
মিথ্যের ঢালি দিয়ে ঢাকি সত্যেরে ।
আমার কথা বলা  আমার পথ চলা
লোক দেখানো যত মায়া মমতা ভালবাসা 
আমার মুখের হাসি, চোখের জল 
আমার উত্তরণের যত কৌশল 
সবটাই একটা মিথ্যার মোড়কে ঢাকা ।
তাই যখনই কাউকে কিছু বলি
বুকটা আমার  মুহূর্তে উঠে কাঁপি
কেন জানি মনে হয়, সব জমা হয় ;
সব জমা হয়, কড়া গণ্ডায় মাপি
একে একে ভরে উঠে জীবনের ঝাঁপি 
একদিন সবকিছু  বের হবে, ধীরে ;
একদিন হবে তার চুলচেরা বিচার 
হয়তো তখন আমার বিস্ময় অপার 
পাপ ,ছলনা আর অন্যায়ের পাহাড়
মনে হবে এও কি সম্ভব আমার পক্ষে 
অনুক্ষণ এই ভাবনায় বুক শুধু কাঁপে।
শুনেছি আগুনে পুড়ে নাকি শুদ্ধ হওয়া যায়
তাই আর নয়,  আর নয় মিথ্যার আশ্রয়
আজ আমি মুখাগ্নিতে শুদ্ধ হতে চাই
আমার মুখে সাঁটা মুখোশ সহ যত কালিমা
যত গ্লানি, ছল চাতুরী আর মিথ্যে ভঙ্গিমা 
পুড়ে ছাই করে শুদ্ধ হতে চাই ।
আমার একমুঠো আগুন চাই।
কেউ কি আছেন শুদ্ধ আত্মা ?


কোন মন্তব্য নেই: