“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৭

পৃথকপন্থী



ফটো নিজস্ব























।। সুপ্রদীপ দত্তরায় ।।


রে বিস্মৃতির দল
কারে তুই ঠেলে দিয়ে
কারে দিস কোল।
কার তরে জন্ম তোর
অম্লান আদর্শঘোর
কার তরে কাঁদে তোর প্রাণ।
তুই না পৃথকপন্থী
তোকে তে বাঁধিয়া গ্রন্থী
দীনে হীনে স্বপ্ন উড়ান ।
স্থানে স্থানে পার্টি দিয়ে
কী প্রমাণ দিতে চেয়ে
প্রকাশিছ নিজ নিজ শৃগাল স্বভাব ,
সাধ্য থাকে কর দেখি
দেশজুড়ে শূকপার্টি
দেখ তার দেশব্যাপী কতটা প্রভাব ।
মানি না গবাদি বিধি
ভালো কথা ক্ষতি কী
দেশজুড়ে হোক তার কড়া প্রতিবাদ ;
কিন্তু এ পথে কেন
এই প্রতিবাদ যেন?
একেরে তুষ্ট কর দিয়ে অন্যে আঘাত!
এ নয় রাজনীতি
শুধুই তোষামোদি
ধর্মের ধোঁয়া তুলে ভোট সমীকরণ ;
বিশেষ জাতিকে তোষা
কাঁটাবনে মুখ ঘষা
বারবার সমাজের করা রক্তক্ষরণ ।
এই পথ সঠিক নয়
এতে শুধু রক্তক্ষয়
শান্তির দ্বীপ হয় অশান্ত ভুবন ,
ভেবেছিস ভোট পাবি
মূর্খ, কচুপোড়া খাবি
মিথ্যার স্বর্গে তোর আস্ফালন । এখনো সময় আছে
নিজেকে খোঁজ নিজে
আপনাতে আপনারে কর অন্বেষণ ,
কোথায় হচ্ছে ভুল
কেন তুই হারাকুল
কেন তোরে জনগণ করে প্রত্যাখ্যান ।
কেন তুই একঘরে
কোন ভুল নীতি বলে
ঘরে ঘরে শত্রুর জয় জয়কার,
কোথায় দলের আইন
নীতিমালা অভিধান
বিশ্বাসে চিড় ধরা, হলি ছারখার। তোকে ঘিরে আস্থা ছিল
অগাধ ভরসা ছিল
আশা ছিল পেতে পারে স্বপ্ন সাকার ,
সে গুড়ে বালি ঢালি
কি পথ বেছে নিলি
সাম্যের স্বপ্নকে করে চুরমার ।
জাগ রে ভাই আমার
আর নয়, নয় আর,
আর কীরে ভুল পথে পথ চলা যায়;
চল মোরা একসাথে
হাত পরে হাত রেখে
সাম্যের গাই গান লাল পতাকায় ।

কোন মন্তব্য নেই: