“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭

হৈমন্তী সুর

  














 ।। সিক্তা বিশ্বাস ।।
   
র পোড়া আমি যে ভাই 
সিঁদুরে মেঘেতেই ভয় !
আশাতুর জীবনে দেখছি ,
 
নিত্য কেবলই আশার ক্ষয় !
       তবুও আশা মনেতে পোষা  ,
       বাঁচার তেষ্টা শুধুই ভালোবাসা .....
             ****
  
   পাহাড়তলির মেয়ে আমি 
   সরল জীবনের সাক্ষী ,শুধুই অন্তর্যামী l 
   নিজেকে চিনলাম নতুন করে 
   আমিই  সেই হৈমন্তী !
   মিঠে দুপুরের আমেজিমতি 
   খেয়ালীপনায় দুরন্ত অতি l 
   প্রভাতী সুর ডাক পাড়ে  ঐ.. যে ....
   ওগো , কোথায় তোমার নূপুর সাজে !?
   বাজাও  একটু পরান ভরে ,
   ভরিয়ে দিই আমি সুরে সুরে ....
   বললাম তারে , ও নিয়ে গেছে বসন্ত যে ----
   কথা দিয়ে গেছে ,
   ফিরিয়ে দেবে সে শীতের শেষে ----
   এই আশাতেই বসে বসে 
   দিন গুনছি আমি অবশেষে ...
   গহীন শীতের শিশির যখন 
   সাজবে তৃণে বরফ  বেশে ,
   রোদ্দুর হয়ে নূপুর আমার
   সাজাবে তোমায় আমলকী বেশে l
   বুঝবে তখন নূপুর বাজলো
   পলাশ  জাগলো রাঙিয়ে আলো 
   তখন এসে দোল লাগিও ...
   পরানে আমার বসন্ত জাগিও ....
   দেখবে তখন তোমার হৈমন্তী ,
   নতুন সাজে সাজবে বাসন্তী ,
   তৃণে তৃণে জাগবে আশা ,
   নবাঙ্কুরের ভালোবাসা .....
   নতুন আবেশে ফাগদিবসে 
   সুর তুলবে সে প্রেমিকাবেশে। 

      ##ঝোড়োমেঘ সংকলন##
শিলং l               

কোন মন্তব্য নেই: