।। মধুমিতা নাথ।।
অর্ধমৃত
ঊর্মিমালার দেহটা
দুর্গম
পাহাড়ি গুহায় ছুঁড়েছিলও বিশ্বাসঘাতক প্রেমিক
ধেড়ে
ইঁদুর ,
বাদুড়-ডানা ঝটপট
কাঁকড়াবিছে
সঙ্গে দু'তিনটে জাতিসাপ
পাথর
চাপায় রুখেছিলো একমাত্র প্রবেশ পথ
পিঁপড়ের
মহাভোজে
জমাট
কালো রক্তাক্ত যৌবন
দেয়াল
ফোকরে মাকড়সার আঠালো উঠানামা
জাল
বোনা ,
ঝুলে থাকা
সরু
ফাটলে চিলতে আলো
কখনো
তেজী কখনো স্নিগ্ধ
দেহটা
বেঁচেছিলো ঘেঁয়ো কুকুরের মতো
যৌনাঙ্গে
পচে যাওয়া ঘা নিয়েও
ঊর্মিমালার
ঘিনঘিনে বেঁচে ওঠা ...
অগুনতি
অন্ধ অন্ধকারে
কতবার
চিলতে তেজী আলো ডেকে গেলো
কতবার
স্নিগ্ধতা আদর বুলিয়ে গেলো
জমাট
কষা নোনাজলে গলাভেজা
গলা
চেরা বমি
পিঁপড়ে
মিছিলে হামাগুড়ি পাথুরে মন --
সেও
এক অনন্য ঊর্মিমালা
আলো
পথে উদার স্নিগ্ধ কেউ
বেঁচে
থাকা কথা বলে
বেঁচে
যাওয়া কথা বলে
কালশিটে
চোখের কোল
লতপত
পায়ে আদিম গুহামানবী
মানুষে
পশুতে খুবলানো ভ্যাম্পায়ার ঊর্মিমালা ...
মাঝে
মাঝে আজব কিছু হয়
তবে
তাই হোক ----
বিশ্বাসঘাতক
প্রেমিকটি
মৃত্যু
প্ৰহর গুনে
খোলা
চোখে দেখে হাত-পা-মুখ বাঁধা
মানব
থেকে আদিমানবে রূপান্তর
ধেড়ে
ইঁদুর মাকড়সা বাদুড় কাঁকড়াবিছে
আর
দু'তিনটে জাতিসাপ
প্রেমিকের
শেষ ভুলটা শুধরে নেয় ঊর্মিমালা
সরু
ফাটলে পাথর গুঁজে গুঁজে বন্ধ করে আলোপথ
দুর্গম
পাহাড় চূড়ায় উল্লসিত ঊর্মিমালা
হিমালয়
বুকে বরফ কঠিন আস্তরণে
কোনো
টেথিস ঊর্মিমালা
পায়ের
তলায় কঠিন লাভা মাড়িয়ে
কোনো
ভিসুভিয়াস ঊর্মিমালা
"এক হাসিনা থী ..."
-------// -------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন