“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭

পোশাকি আলাপ

।। অভীক কুমার দে।।

(C)Image:ছবি

.
গ্রীষ্মরাগ কমাতে বর্ষার কোন ত্রুটি থাকে না।
জল ঢালে খুব। সে জল ভাসিয়ে নিয়ে যায় অনেক কিছু, এমনকি জীবনযাত্রার ধারাবাহিকতা থেকে ভাবনাও। হারানোর কষ্ট কার না থাকে ? সময়ের যেমন, মাটিরও আছে।

সব জল ঢেলে দেবার পর বর্ষা যখন ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, শরৎ আর হৈমন্তী খুঁজে দেখে কতটা ক্ষয়ক্ষতি। খুঁজতে খুঁজতে সব জল শুষে নেয়, মাটির ত্বক ফেটে তছনছ হয়ে গেলেও মন ভরে না, যদিও অপবাদ সব শীতের ঘাড়েই চাপে। শীতের কী দোষ ?

শুষ্কতার পোশাকি আলাপ নিয়ে মিথ্যে বলে না শীত, যারা আগে ছিল সব উষ্ণতা নিয়ে লুকিয়ে আছে, অথচ বাতাসের গায়ে এই সময় জলের বড়োই অভাব, তবু বছরের হিসেব মতোই এক বসন্তসোহাগ উপহার দিয়ে চায় আগামীকে।
....................

কোন মন্তব্য নেই: