।। অভিজিত দাস।।
ব্যবহারকারীদের কাছে তাঁদের নগ্নছবি ও ভিডিও চাইছে ফেসবুক , যাতে ছবিটি ভবিষ্যতে ফেসবুকে আপলোড করা হলে ব্লক করা সম্ভব হয় ।
উদ্দেশ্য প্রতিশোধমূলক পর্ণো প্রতিরোধ করা ।
পরীক্ষামূলক ভাবে প্রক্রিয়াটি চলছে অস্ট্রেলিয়ায়, যে সকল ব্যবহারকারীরা এই নিয়ে চিন্তিত আছেন যে
তাদের প্রাক্তন সঙ্গী/সঙ্গিনীরা আপলোড করতে পারেন তাঁদের নগ্ন ছবি, তাঁদের নিশ্চিন্ত করার খাতিরেই ফেসবুক চাইছে
উনাদের নগ্ন ও ঘনিষ্ঠ ছবিগুলি । ফেসবুকের সফ্টওয়্যার "হ্যাশ", অর্থাৎ ছবিটির ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরী করে
রাখবে স্মরণে, যাতে পরবর্তীতে যখনই আপলোড
করা হবে তখন আপনা-আপনি চিহ্নিত হয়ে ব্লক হয়ে যায় । পরীক্ষাটি শুরু হবে শিঘ্থই
কানাডা ও মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্রে ।
ফেসবুক কর্তৃক নগ্নচিত্র ও প্রতিশোধমূলক পর্ণ
ব্যান এবং ইউ.কে'তে দুই বছর অব্দি জেল ঘোষণা
সত্ত্বেও এখনো এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বড় একটি সমস্যা । এজন্য প্রতি মাসে ৫৪,০০০ মামলার মুখোমুখি হতে হচ্ছে ফেসবুককে ।
Revenge Porn বলতে বোঝায় কোনো ব্যাক্তির অজ্ঞাতে এবং অনুমতি ছাড়াই তার ঘনিষ্ঠ ছবি ও ভিডিও
আপলোড ও শেয়ার করা । সোস্যাল মিডিয়ার অগ্রগতির দৌলতে বেড়ে চলেছে প্রতিশোধমূলক
পর্ণোও ।
● এটা কী অপরাধ ?
২০১৫-র এপ্রিল থেকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস এ প্রতিশোধমূলক
পর্ণো একটি দন্ডনীয় অপরাধ । এই অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছরের জেলও হতে পারে । অপরাধ
ঘোষণার প্রথম বছরের মধ্যেই বিচার হয়েছে প্রায় দু'শ অভিযুক্তের
। যদিও Revenge
Porn এর শিকার হওয়া অধিকাংশ
মানুষই ভয় ও হতবুদ্ধিতার জন্য সামনে আসেননা ।
ফেসবুকের এইপরীক্ষা চলাকালে, দ্বিধাগ্রস্থ ব্যক্তিদেরকে অনলাইন মারফৎ
অস্ট্রেলিয়ার ই-সেফটি কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে । ওখান থেকে ফেসবুকে ছবি
প্রেরণ করার পরামর্শ দেওয়া হলে তবেই উনারা ফেসবুকের মেসেঞ্জার এপ এর মাধ্যমে ছবি
পাঠাতে পারবেন ফেসবুকের কাছে ।
যদিও ব্যবহারকারীরা প্রায়শ খুব সহজেই ছবি রিসাইজ
অথবা ক্রপ করার মাধ্যমে "হেশিং" টেকনোলজির চোখে ধূলো দিচ্ছেন, কিন্তু, Alex Stamos, ফেসবুকের প্রধান সুরক্ষা অফিসার, এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে, এসব ঠেকাতে উপযুক্ত পরিবর্তন আনা হচ্ছে টেকনোলজিতে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন