“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭

দৈনিক ছড়া সংবাদ আসাম

(=গুয়াহাটিতে পাঁচটি বাম দলের যৌথসভায় উঠে
এলো কৃষকদের নানা সমস্যার কথা=
পুঁজিপতিদের সরকার বিজেপি ঃ সিপিএম )

।। এম রিয়াজুল আজহার লস্কর ।।

(C)Image:ছবি

















@
গৌহাটিতে কৃষক নেতা ধ্বজা ধরে লাল।
বললো তারা মরছে চাষি খারাপ এলো কাল।।
তিনশো হাজার আত্মহত্যা চাষি মরে ঋণে।
চাষিরা সব পড়ছে ফাঁদে মোদির আচ্ছে দিনে।।
ঋণের  চাপে আত্মহত্যা চাষি মরে রোজ।
সরকার এখন পুঁজিপতির নিচ্ছে না তার খোঁজ।।
সমস্যা সব সমাধানে করতে হবে লড়াই।
লাল পতাকার তলে চলো সবাই এসে জড়াই।।

মঞ্চে বসা নেতারা সব উঠলো বলে আরো,
আনছো দেশে বিপদ বড়ো কমিউন্যালি ছাড়ো।
এদিক ওদিক কাঁদছে চাষি জমিন ভাঙ্গে নদী।
সমাধান চাই সমস্যা সব নইলে ছাড়ুন গদি।।
২০ নভেম্বর  দিল্লির মধ্যে সভা হবে বড়ো।
তিনশো হাজার চাষি এসে সেথায় হবে জড়ো।।
দিল্লিতে সেই সমাবেশে যোগটা দিবেন সবে।
সমস্যা সব সমাধানে লড়াই করতে হবে।।

মঞ্চে বসা কৃষক নেতা বললো আরো শেষে,
ঋণটা মুকুব করতে হবে তুলবো তুফান দেশে।
চাষিদেরে দিতে হবে সুলভ মূল্যে সার।
ভূমিহীনদের দিতে হবে ভূমির অধিকার।।

পাঁচটা বামদল ডাকলো সভা, সভা ছিলো বড়ো।
হাজার হাজার মানুষ হেথা হয়েছিলো জড়ো।।
কমিউনিস্টি নেতারা সব মঞ্চে ছিলো বসা।
আফসোসে খুব বললো তারা চাষির যত দশা।।
@
( নির্ভেজাল সংবাদ পরিবেশন করে “ দৈনিক ছড়া সংবাদ আসাম ”)
১৩/১১/২০১৭

কোন মন্তব্য নেই: