“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৭

শিশুকে যখন কোলে তুলি


।। শিবানী দে।।

(C)Image:ছবি


















                                    
শিশুকে যখন তুলি কোলে,
আঁচলের ভেতর থেকে দু-হাতের স্থলে
দশ হাত বেরিয়ে পড়ে। জড়িয়ে রাখে জীবনের কুঁড়ি।
রক্ষামন্ত্র পড়ি,
তুই উপরে থাকিস নিরাপদে, নিচেও থাকিস,
ডানে তোকে রক্ষা করি, বামেও সমানে, অহর্নিশ
চোখের সামনে রাখি, জোড়া চোখ খুলেছি পেছনে,
ঈশানে, নৈঋতে অগ্নি বায়ু কোণে
তোরে রাখি দশ হাতে আগলে।
তোর আধো বুলি বুঝি আমার তৃতীয় চোখ খুলে।

বড় ভয়, চারিদিকে বড় ভয়,
রক্তলোভী মাংসলোভী ছদ্মবেশী এসময়
মানুষের বেশে ঘোরে বাইরে ও ঘরের ছায়ায়,
বিশ্বাস বিকিয়ে যায় টাকায় টাকায়;
সাবধানে নিয়ে তোকে দিক চিনে চলি
কোনখানে কোথায় যে অন্ধ চোরাবালি।

তোমাকে যখন তুলি কোলে,
প্রভাত সমস্ত তার কচি আলো ফেলে
পৃথিবীর বুকে, গেয়ে ওঠে পাখি,
হাজারো কুসুম ফোটে, নাচে হাজারো জোনাকি।
কঠিন মলিন এই পৃথিবীতে বড় অনুগ্রহ করে
এসেছিস রামধনুরঙা পথ ধরে।
তোর হাসি, তোর কান্না অভ্রনীলে শারদ আকাশ,
নিবিড় কাজল চোখে আমাদের আগামী-আশ্বাস।
বড় দরকার,
তোকে রক্ষা করবার, ভালবাসবার
আমাদের বড় দরকার।



কোন মন্তব্য নেই: