“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭

ভিতরগোল

।। অভীক কুমার দে।।

(C)Image:ছবি















.
দমতলা থেকে ত্রিপুরী রূপের পথে
ভিতরগোলের কোন ছবি দেখেছি,
কারও অচেনা মুখ
বেপরোয়া মন চাতকের মতোই দেখেছি
দু'রকম ছবির ভেতর সাঁতারু আমি
প্রতিচিত্রে হোঁচট খাওয়া আবেগ
সন্ধ্যার ঘনিষ্ঠ ছোঁয়ায়
কোন তরুণী রাতের বুক মোমের মতোই জ্বলে ওঠে,
শিখার উত্তাপে মোমের গলন দেখেছি
যন্ত্রণায় ঝরে পড়া রেখা
ইচ্ছে ঢাকা তরল মোম...
মন ফিতায় ঝুলিয়ে রাখে না বলেই
মনের রোগিণী জ্বলে যায়
শেষে, ঢেউ খেলে রাগিনী রাত।
ভিতরগোলের কোন ছবি দেখছি তখনও
সব উপমার অবসান হলে
সেই অচেনা মুখ আর অচেনা নয়,
মুখ লুকিয়ে একবার বলেছিল--
এদিকে সব রাস্তা সাম্প্রদায়িক পলিপথেই বাঁকা।
.
রাতের আলোটুকু বুকে গেঁথে চাতকের চোখে দেখেছি
দু'রকম ছবির ভেতর সাঁতারু আমি
প্রতিচিত্রে হোঁচট খাওয়া আবেগ
অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজতে চায় না বলেই
বুকের দেয়ালে শ্যাওলা জমা ভিতর- গোল।
....................

কোন মন্তব্য নেই: