“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭

অকেজো বয়স যখন কাছাকাছি হাঁটে

অকেজো বয়স যখন কাছাকাছি হাঁটে
অভীক কুমার দে
.
মনের এবেলায় রুক্ষ বাতাস আর খরা।
.
জানালাপথেই ইতি নয় শ্রেণীকক্ষ,
প্রশ্নপত্রের কলোনি থেকে শৈশব- কৈশোর হয়ে আপ্রাণ হেঁটেছি,
ধাপের পর ধাপ পেরিয়ে যৌবনের শেষ...
এখন আমি নিশ্চিন্তে হাঁটতে পারি না।
অসংখ্য চাহিদায় ঘেরা প্রতিদিন অনেক উত্তাপ
উত্তেজনায় একের পর এক স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন যেমন...
অথচ কেউ শোনে না স্বপ্নহত্যার কান্না !
.
রুগ্ন পাঠের পথ ধরে সব ক'টা কথাই রেখেছি,
পড়েছি, শিখেছি আর লিখেছি...
কত কত রঙচটা কাগজ বছর পর বছর,
শংসা- প্রশংসায় ফাইলটা আজকাল ভীষণ মোটা,
রোগে ধরে গেছে বোধহয় !
.
তোমাদের দেওয়া কাগজের টুকরো
বারংবার শ্লীলতাহানি করতে করতে প্রায় বাদ যায়নি কিছুই।
টেবিলের তলায় কেউ গোপন ছিদ্রপ্রেম দেখিয়ে গেলেও
আমি অপারগ,
আত্মার ধর্ষণ হতে যে দিতে পারিনি...

কোন মন্তব্য নেই: