“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০১৭

তুই বাপু


.
তুই বাপু
 
(অনুগল্পগুচ্ছ)
(C)Image:ছবি





















।।অভীক কুমার দে ।। 

ক.
সেদিন একদিন। তোর ছায়াশরীর দেখেছি।
ফসল বা চারার ছাউনি ভেবে দু'কদম এগিয়ে এসেছিলাম মনে আছে। অথচ তোর কাছে কোন শীতল- মায়া নেই, বরং শীতাঙ্গের চাপ।
তুই বাপু জেনে রাখিস--
বিয়োগেই শীতাঙ্গের মান নির্ণয় হয় গণিতে।
খ.
পাঠকের অনুভূতি কবির চেয়েও প্রখর হয়। কবি আত্মা নিংড়ে সৃষ্টি করেন, পাঠক তাঁর সব সোহাগ দিয়ে লালন করেন সন্তানের মতোই। পৃথিবীর সব মানুষ যেমন এক মনের, এক রঙের, এক পথের, এক গতির হয় না, তেমনি সকল পাঠকও 'আমি ভালো পাঠক' প্রকৃতির মনে করার কোন কারণ নেই।
 
তুই বাপু মনে রাখিস---
 
হাতে ছাই মেখে ঘুরলেই যেমন মাছ ধরা যায় না, তেমনি টোপ ফেললেই বোয়াল ওঠে না।
গ.
এককালের ঝরে যাওয়া পাতাগুলো জুড়ে দিয়ে গাছের ছবি হবার চেষ্টা হতে পারে, কবি নয়; কেননা কাণ্ড- জ্ঞানপূর্ণ হতে হয়।
তুই বাপু জেনে রাখিস--
ঝরে যাওয়া পাতায় ক্লোরোফিল ফুরিয়ে যায়, তারপর ঝুরঝুরে।
ঘ.
ঘুম- ঘুম চোখে আলো দেখে আর দৃষ্টিকোণ বদলে নিলেই চাওয়া সব পাওয়া যায় না। এখানে স্বপ্ন দরজা পেরিয়ে স্নায়ুর চেতন- রথ।
তুই বাপু জেনে রাখিস--
সকাল আর সন্ধ্যায় আলোর মায়া একই,
তবু ভিন্নপথ দেখায়।
ঙ.
নেংটা নাচে যেমন মন মজে না, তেমনি চেঁচামেচিতেও আজকাল মানুষ জমে কই ! জানিস তো-- নরকের তেমন কোন পথ হয় না; অহংকারে ঢলে পড়লেই দেখিস...
তুই বাপু বরং স্বর্গের পথ চিনে রাখ।
 

কোন মন্তব্য নেই: