“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭

বস্তিগলির পথে


 


















।। অভীক কুমার দে ।।

 
 মার শহরের আনাচেকানাচে স্যাঁতসেঁতে কাদাজল,
রোজরাতে রোজগেরে আলেয়া মুচকি হাসে,
পিচঢালা রাস্তায় পথ খোঁজে মাঝরাতের মাতালদল।
ওদের বিছানা- জল- মাটির সমান্তরাল বসবাস,
ভোরের বাতাস ছুঁয়ে যাবার পরও পঁচাগন্ধ,
মাটিও এখানে পিপাসা বোঝে না,
বোঝে না শহুরে ঢঙের গোপনীয় সহবাস...
.
এখানে দালানের ছায়া নেমে আসে বস্তিগলির পথে,
প্রতিটি কোণ জেগে থাকে আলোছায়ার কালোয়,
কোণায় কোণায় মুহূর্তেরা কোণঠাসা।
কিছু ভোটাভুটির ভোমরাগানের পরও
ওদের বিছানা- জল- মাটির সমান্তরাল বসবাস,
প্রমাণের পর প্রমাণিত হয় মিথ্যে যতসব ভরসা...

কোন মন্তব্য নেই: