“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭

কালকথা- ৪০

(C) সুভজিত পাল


















।।  অভীক কুমার দে ।।

রে পড়ার পর ভেজা পাথর ছুঁয়ে
বেরিয়ে গেছে যে নদী খবর রাখেনি ঝর্ণার,
র্নার ছিটানো বিলাপ মাথা ঠোকে পাহাড়ের পায়ে।
নদীও জানে সুখ নেই প্রবাহে,
দু'পারের নির্দেশেই যেতে হবে বহুদূর...
সামনে সমানে কোথাও হতাশার সমাবেশ,
যেখানে সমুদ্র- বিছানা সেখানেও রোদ নামে,
বাষ্পীয় খেলা, ঢেউ বাড়ে গায়ে।
.
আকাশের ঘরে বাতাসের ভেজাসুখ
সীমার উপর গড়ায় যখন--
বুকের নীলে স্থির থাকে না মেঘস্তর,
প্রতিবাদে গর্জে ওঠে,
তবু আদ্র আকাশ শুধু বৃষ্টি দিতেই জানে...
.
সীমার উপর গড়ায় যখন তীব্র স্রোত
বুকের হ্রদে স্থির থাকে না জলস্তর,
প্রতিরোধে মেতে ওঠে,
জাগিয়ে তোলে প্রহারভারি ক্রোধ;
তারপর বন্দিজীবন আর বরফজমা অসুখ...

কোন মন্তব্য নেই: