“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭

চলনছায়া এবং শেষ ধোঁয়া- নিঃশ্বাস

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি
 
 





















.
কটা হাতলভাঙা হারিকেন সন্ধ্যা থেকে জ্বলতে জ্বলতে
প্রতিরাতেই ফিতাপোড়া গন্ধ আর
গভীর রাত জেগে ওঠে মনের গভীরে...
.
ফাটা চশমার খাঁজে ভেসে ওঠে একটি নদীর চলনছায়া,
স্মৃতিগুলো জোনাকিছন্দে ভেসে ভেসে জেগে থাকে,
এই বুঝি ছোঁয়া যায়...
এই তো ক'দিন আগেও সবই ছিল,
দু'টি নদী এক ছিল,
কেন তবে মরণদ্বীপ জাগে, ভাগ হয় নদীজল !
চোখের জল চুপিচুপি বয়ে গেলে
চোখের কোলেই রাতের কালো কালি;
তারপর অনেক রাত বেহালাকান্নায়...
.
আকাশের আলো ঘুমঘোর নেশায় ডুবে গেলে
রাতের শরীর ফ্যাকাসে হয়,
এভাবেই চলনছায়া মুছে যায়,
একদিন ফিতাপোড়া গন্ধেই শেষ ধোঁয়া- নিঃশ্বাস...

কোন মন্তব্য নেই: