“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭

‘হোকাস পোকাস গিলিগিলি ও বোধজংনগর


 ।। পার্থ প্রতিম আচার্য।।


হোকাস পোকাস গিলিগিলিশব্দগুচ্ছ শুনেছেন নিশ্চয়ই।জাদুকরী উচ্চারণ যাতে ঘটে যায় সব অদ্ভুতুড়ে ঘটনা ছিল একটা রুমাল ,হয়ে গেলো একটা বেড়াল জাদুর মায়াজালে আবিষ্ট দর্শক আমরা- বিশ্বাস করি তার কথায় ,খেলায়।আমাদের দেশের একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতারা এই জাদু বিদ্যা খুব ভালই রপ্ত করেছেন।গুরুদের (জাদুকরদের) দেখানো পথে  তারাও হোকাস পোকাস এর ব্যবহার করে যাচ্ছেন বহুদিন। ভোট এলেই হোকাস পোকাস বেশ শোনা যায়
এই যে হোকাস শব্দটি এর অর্থ হল-ঠকানো,প্রতারণা করা ,মিথ্যার বেসাতি ইত্যাদি।১৮শ শতাব্দীর কোন এক সময়ে হোকাস নামক ক্রিয়াপদ কে সংক্ষিপ্ত করে হোক্স শব্দটির উৎপত্তি।যার অর্থও একই ।মিথ্যার বেসাতি যেমন কিনা গুজব ছড়ানো ।পুঁজিবাদী গণতন্ত্রে ভোট বড় বালাই।জনগণ নামক আমাদের মত প্রাণী সমূহকে হোক্স দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য আবিষ্ট করে দিয়ে একবার ভোট আদায় করে নিলে কেল্লাফতে।জাদুর শেষে জাদুকর যেমন পকেট ভরে নেয় ,সেই রকম আর কি।অবশ্য দর্শকরা কিন্তু বেরিয়ে এসেই বোঝেন যা মোহিত করেছিল তা ভ্রম /মায়া মাত্র।কিন্তু জাদু বিদ্যার কারিগর আর রাজনৈতিক কারিগরদের মধ্যে একটা বড় পার্থক্য হোল- প্রথমোক্তরা ভ্রম তৈরি করেন আনন্দ দিয়ে বিনিময়ে অর্থ কামাতে , আর শেষোক্তরা সেটা করেন বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ঘোলা জলে ভোট শিকারের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে।
           আমাদের এখানেও তাই হয়ে গেলো, যাচ্ছে সামনে যে ভোট ।জাদুকরদের প্রদর্শনে আমরা স্বেচ্ছায় অবিশ্বাস কে বন্ধক রাখি আনন্দ পেতে আর রাজনীতির ক্ষেত্রে আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পরিকল্পনা করে।ভাসি এঁদো পচা জলাশয়ের দিকে কিছু শয়তান মস্তিষ্কের কু-পরিকল্পনার শিকার হয়ে তবু বোধোদয় হয় তবে তা হতে যে সময় লাগে এর মাঝে ধ্বংসের অনেক বীজ রোপিত হয়ে যায় ।ভাই ভাই তৈরি হয় অবিশ্বাসের সাময়িক দীবার। যারা বোঝেন, তাদের সে জঞ্জাল সরাতে লাগে বহু কষ্টে ।বোধজংনগরের গুজব যারা ছড়িয়েছেন তারা গণশত্রু।তাদের লক্ষ্য একটাই সেই মীরা নায়ারের 1947 EARTH সিনেমায় আমির খান যেমন একটা মানুষ থেকে তৈরি হয়েছিলো একটা নরপশুতে সেইরকম আমাদের রাজ্যের কিছু ভাইদের জীবন দর্শনকে পাল্টে দেয়া।কিছুটা সফলও তারা। আক্রান্ত হল থানা,রক্ত ঝরল কিছু নিরপরাধ মানুষের,বাইক ,গাড়ী জ্বলল।স্রেফ একটা হোক্স কে কাজে লাগিয়ে খেপানো হোল উপজাতি ভাই বোনদের। কেন ? যে ভোট বড় বালাই ।তাই সবার কাছে আহবান হোকাস পোকাস শুনলেই রুখে দাঁড়ান (জাদুকরদের বাদ দিয়ে)।কারণ এরকম আরও ঘটবে ,অনেক ঘাম ফেলা হচ্ছে , ভোটের বাক্স পুড়তে
আর প্রশাসন কে বলি যারাই এসব করবে তাদের মার্জনা নয় ।চাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
বন্ধ হোক হোকাস পোকাস   


কোন মন্তব্য নেই: