“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭

ঘড়ি

।। অভীক কুমার দে ।। 
(C)Image:ছবি































.
মা'র ঘড়িটা যত্নে রেখেছি,
সেটাই যে আমার সব অলঙ্কার আর অহংকার।
আর কী ছিল ?
ছিল কি !
কিছুই তো মনে পড়ে না...
ছিল, একটা সাদা প্যান্ট,
স্কুল অথবা বাড়ির একটাই।
প্যান্টের চোখ ছিল দুটো,
সবার চোখে চোখ মেলাতেই সবার হাসি
আমার কান্না,
অথচ ঐ চোখে চোখ মেলাতেই পারিনি,
পেছনের চোখ পেছনেই থেকেছে...
মা বলতেন--
সমাজের ছোট চোখ তোর পেছনে,
তুই শুধু সমানে দেখ,
সামনে দেখ।
এই ধর আমার ঘড়ি,
এটাতে সময় ওঠে,
সময় দেখিস, সময় বুঝিস সময় মতো।
.
মা'র ঘড়িটা যত্নেই রেখেছি,
এখনও সময় ওঠে,
সময় দেখায় সমাজের ছোট চোখ...

কোন মন্তব্য নেই: