“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭

কালকথা- ৪১

(C)Image:ছবি



















।। অভীক কুমার দে ।।
.
বিতা হাঁটছে,
রবি- দুখু মিঞার এলাকা পেরিয়ে অসময়ের গলিপথ,
তারপর ঋতুর বর্ষাভেজা মাঠ,
প্রতিটি লাইন একে একে নামছে আর পলিপথে হাঁটছে।
হয়তো কবিতা জানে--
মাঠ পেরুলেই বসতি আছে কারো,
যেখানে খেজুর পাতার ঝুপড়িতে বাস করে
কোনো স্বদেশ আর স্বাধীনতা।
.
ঝুপড়ির ভেতর অসাম্যতায় নকল কাজলরেখা বেঁকে গেলে
আর্তনাদে ঘেমে যায় শব্দবোধ,
পথ হারায়, তবু কবিতা হাঁটছে...
হয়তো কবিতা জানে--
ছন্দের রঙ খুঁজতে খুঁজতেই কাকভোর যেখানে
সেখানে ভাতের বদলে বিনে- পয়সার কনডম আসে এবং
বন্ধ ঘরে একছিদ্র পোতাশ্রয় গন্ধ ছড়ায়...
.
কবিতার ক্লান্ত শরীর স্বদেশের আনাচেকানাচে স্বাধীন,
যদিও রক্তচাপের থিতানো সুর আর
পরিচয়ের প্রভাতফেরি--
শেষ নেই...
রাত শেষে অসুখের মরা কান্নার পর
একেকটি লাশ গণনায় বেড়ে গেলে
দূরে কোথাও শোনা যায় ভূপেনবাবু গান--
'.... একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না...'

কোন মন্তব্য নেই: