“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭

বিবর্তন

 ।। শিবানী দে।।
(C)Image:ছবি














গ্নিপিণ্ড থেকে বস্তুপিণ্ড হবার দিকে এগোচ্ছে পৃথিবী 
মাঝখানে তোমার নিয়মে তুমি এনেছিলে জল,
সৃষ্টি করেছিলে পর্বত, অরণ্য, ধাপে ধাপে এনেছিলে জীবন,
শেষ ধাপে বড় যত্ন করে এনেছিলে মানুষ । হে প্রকৃতি,
দেখে তোমার বড় অহংকার হয়েছিল ---
অতুলনীয় সৃষ্টি তোমার, তার গরবে ছিলে গরবিনী ।
সেই সৃষ্টিই হল কাল, তোমার অহংকারের কাল ।
ধ্বংস করল অরণ্য, সে গড়ল অট্টালিকা,
অরণ্যচারীরাও তো তোমার সৃষ্টি ছিল,
তাদের বাসস্থান কেড়ে নিল ।
ভাঙ্গল পাহাড়, বানাল রাস্তা, উঠল পাহাড়ের সর্বোচ্চে
তোমাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে,  ক্ষমতার দম্ভে
পাড়ি দিল আকাশে, ছড়িয়ে দিল নভস্থলে বিষবাষ্প
নষ্ট হল শ্বাসবায়ু, নষ্ট হল  প্রাণদায়ী বৃষ্টি।
সাগর করছে তোলপাড়, জলচারীদের প্রাণসংশয়----
আরো চাই আরো, ক্ষুধার শেষ নেই,
মাটির গভীর থেকে তুলে আনছে খনিজ, জমি করছে তছনছ,
তবুও লোভের শেষ নেই ।
তাই তুমি আন প্রলয় ঝঞ্ঝা, আন মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির বন্যা,
ভাঙ্গা পাহাড় আরো ভেঙ্গে দিয়ে কাদা মাটির প্লাবনে বুজিয়ে দিচ্ছ
এই উদ্ধত সভ্যতার চিহ্ন ।
ধীরে ধীরে বস্তুপিণ্ডাকার করতে চলছ এই পৃথিবীকে,
এই অতিপ্রাণতায় কিলবিল, ধুসর হতে থাকা পৃথিবীকে ।
প্রকৃতি, তোমার কাজ তুমি করছ, কে জানে আবার কী গড়বে ।








কোন মন্তব্য নেই: