“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৭

অন্তঃসারশূন্য


 


 ।।অভীক কুমার দে ।।
.
রে যাবার আগে একেকটি পাতায়
কালো কালো বিন্দু জমা ক্যান্সার,
শিরার কাছাকাছি টিউমারের মতোই জেগে থাকে
বিচ্ছিরি এটা সে'টা...
সত্যি সব স্বপ্নই মজবুত ছাঁকনির খাঁজে
কিছু সুখের কিছু অসুখের মেঘঢাকা চাঁদ
অন্তমিলহীন চলচ্চিত্রে
ঝুলন্ত লাশের মতোই আটক ঘটনা,
ছায়ার ছায়া জেগে থাকে একান্ত ছায়ায়...
.
বিচ্ছেদ সুর বেজে ওঠার আগেই যৌবনরঙ
টিকে থাকে না মায়াঘন রোদে,
তবু হেলায় খেলায় শেষবেলায়
হলুদ চোখ
খোলা আকাশ
অন্ত
একেকটি পাতায় কিছু সবুজ তখনও থাকে
যেটুকু শেষ ঝাঁকুনির পর অন্তঃসারশূন্য...

মিল খোঁজে ঝরে যাবার আগে;

কোন মন্তব্য নেই: