“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১ মে, ২০১৭

শেষ কথা


 ।। সুরজিৎ মণ্ডল ।।

(C)Image:ছবি













খন কষ্ট নিয়ে বাঁচতে শিখেছি,
সুখের আশা করিনা,
তাই আর তোমার ফেরার আশায়
ক্ষণে ক্ষণে মরিনা।
দুঃখ করিনা যে তুমি চলে গেলে,
বরং আমি সুখী তুমি গেছ বলে।
বলে গেছ,
মানুষ তো মানুষ হয়না,
রক্ত মাংসের তৈরি বলেই সবারে
তো আর মানুষ কয়না।
ভুল ধারনা করে নিজেকে মানুষ ভেবে,
পেয়েছি প্রতিঘাত,
যদিও আমি হই মানুষ,
দেখো দুজনের মধ্যে কতটা তফাত।
রেখেছ যদিও আমায়
ভালোবাসাহীন,
তবু চুকিয়ে দিতে চাই আজ কিছু ঋণ।
সেই পথ গুলোকে আজ ধন্যবাদ দিতে চাই,
যেই পথ দিয়ে হেটে গেলে আমি আজও তোমার পদধ্বনি শুনতে পাই।
আজ ধন্যবাদ দিতে চাই সেই ভাষাকে,
যে তোমার সম্মুখ ফুটিয়েছিল
আমার মনের আশাকে।
শেষ বারের মতো কিছু বলতে চাই
রেখে দিও বুকে,
আর যদি ইচ্ছে হয়,
ফেলে দিও ডাস্টবিনের মুখে।
সিঁথিতে কারো নামের সিঁদুর
যেদিন তুমি নেবে,
সেদিন হোয়াটসঅ্যাপে
একখানা ছবি আমায় দেবে?
পা দুখানা যেদিন তুমি
আলতার রঙে রাঙাবে,
প্রথম পরশ মনে মনে
আমার বুকে লাগাবে?
চলতে চলতে যেদিন
আমি থমকে যাবো শেষে,
এক ফোটা অশ্রুকণা
ফেলবে তুমি এসে?
তোমাকে ভালোবেসে
অবহেলা পেলাম যবে,
সেদিন থেকে প্রার্থনা করেছি,
তোমার দিন গুলো
যেন কাটে কলরবে।
ঈশ্বরকে আমি বলি,
তুমি সবই করেছ ভুলে,
দুঃখ যেন তোমার পেতে না হয়,
আমায় দুঃখ দেওয়ার ফলে।
                       

কোন মন্তব্য নেই: