“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ৮ মে, ২০১৭

গুয়াহাটি চিড়িয়াখানা

                 


                ।।রফিক উদ্দিন লস্কর।।

 
(C)Image:ছবি












চিড়িয়াখানায় গাছের ডালে ঝুলছে এক উল্লুক,
এদিক ওদিক দেখে দেখে ছুটছে তিনটি ভল্লুক।
নানা জাতি হরিণ আছে খাবার বুঝি নেই তেমন,
মনমরা আর শীর্ণ শরীর দেখে বুঝি হইবে এমন।
হরেক রকম বানর আছে মুক্ত না হয় পিঞ্জিরায়,
শিম্পাঞ্জির হাতে লাঠি দেখে বানরেরা ভয় পায়।
বনরাজ আজ বন্দি খাঁচায়, পেটের খিদে ভীষণ,
গরিলাকে আসতে দেখে বনরাজের খারাপ মন।
হায়নাগুলো বেজার মুখে বসে বসে পান চিবায়,
মুখ থেকে সে বের করে সাপদেরকে দেয় বিলায়।
অজগর এক ঘুমিয়ে আছে ময়লা গায়ে কত স্তর,
কতক হরিণ বাইরে থাকে কত হরিণ গোয়ালঘর।
বাঘ মামার আজ বন্দিদশা,রাগ হলো তার ভীষণ,
সময় মতো খাবার খায়,শিকার হলে হতো কেমন!
বাজপাখিদের ঐ দৃষ্টি প্রখর, মুরগা খুঁজে সর্বদায়,
পাড়ে এসে কচ্ছপ বসে রোদ মাখে তার সর্ব গায়।
ছোট্ট ঘরে ময়ূর নাচে, কেমন করে সে মেঘ দেখে!
হাঁস ধনেশে গোসল করে, একা বসে ঝিমায় বকে।
খাবার খেতে ঐরাবত দল বনের মাঝে যায় ছুটে,
জলহস্তী আর গণ্ডার দেখে শিশুর মনে হাসি ফুটে।
ছুটির দিনে খুশি মনে সঙ্গে পরিবার না হয় সহপাঠী,
চিড়িয়াখানা দেখতে যায় আসাম রাজ্যের গৌহাটি।

 
০৭/০৫/২০১৭ইং
মাছখোয়া,গুয়াহাটি (আসাম)

কোন মন্তব্য নেই: