“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২৪ মে, ২০১৭

সৈকত মজুমদার এর গুচ্ছ কবিতা

।। সৈকত মজুমদার।।
ব্লগপোষ্ট:  +Rajesh Chandra Debnath 
























ছড়া

মা আমার মা
তুমি ছেড়ে যেও না।
তোমাকে ছাড়া আমি
থাকতে পারব না।
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত
তুমি সবার বড়।
সন্তানের জন্য তুমি
আত্ম ত্যাগ ও কর।
আমার কাছে আমার মা
সবার চেয়ে বড়।
জীবনে চলার পথে আমায়
আশীর্বাদ তুমি কর।
প্রাণ জুড়ালো আমার
তোমার শীতল কোলে শুয়ে।
আমি ধন্য হলাম এ জীবনে
তোমার মত মা পেয়ে।
.................
মাতা

মাতা তোমাকে জানাই প্রণাম,
আমি প্রতি কাজে প্রতিবার ।
আশীর্বাদ করিও তুমি আমায়,
নাম রাখতে পারি যেন তোমার ।
জীবনে চলার পথে যদি
কখনও বাঁধা আসে,
পার হতে পারি যেন তা
তোমার করুণায় অনায়াসে ।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেন আমি
সর্বদা প্রতিবাদ জানাই ।
এতে করতে হোক আমায়
যতই প্রাণের লড়াই ।
..................
জীবন যুদ্ধে

আমি আর চাই না বাঁচতে
এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে;
জীবন যুদ্ধে যখন হলো পরাজয়
থেকে আর লাভ কী জগতে ।
প্রতিটি দিন কাটে আমার
শুধু অবহেলায় অনাদরে;
সকলের কৃপার তরে।
কর্মহীন এ জীবনে,-
আর কতকাল দেখবে সবাই;
জীবনের শেষ প্রহর গুনতে গুনতে
কখন যে বিদায় জানাই
আছি শুধু তারি অপেক্ষায়!
..............
আঠারো

আঠারো কেড়ে নিয়েছে যৌবন
আঠারোয় ছেড়ে দিয়েছে প্রেমিকা।
রঙিন স্বপ্ন ভেঙে হলো চুরমার
আঠারোতে হলাম গৃহবন্দী;
আমার আঠারো
পূর্ণিমা রাতে হঠাৎ চন্দ্র গ্রহণ,
নীলাকাশে যেন কালোমেঘের পদার্পণ।
আঠারো আমায় করেছে নিরাশ
মায়ের স্বপ্ন হয়েছে ধূলিসাৎ।
আঠারো গ্রাস করেছে আমার জীবন দীপ,
সেই কালবেলা স্মৃতি পটে এখনও জ্বল জ্বল।
আঠারো তোমার ক্ষমা নেই ইহকালে-----
..................

কোন মন্তব্য নেই: