“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২৪ মে, ২০১৭

নীলাদ্রি ভট্টাচার্য ৫৩ টি কবিতা

(নীলাদ্রি ভট্টাচার্যের কিছু ভালো লাগা কবিতা পড়াবার জন্যে তুলে দিলাম...
 রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ )



















কবি

কবি ....বাড়ি চল
শব্দ উঠোনে মেঘ হামাগুড়ি
আমাদের দেবদারু গাছ
কবে ভালবাসা
শীতে মাখন প্রায়
আমি বুঝতেই পারলাম না
ধরে যখন ফেলেছি
তবে বস....বাড়ি চল
..........
নগর

খবরের কাগজ মাঝহাতে ছাপাই
রাতে রাতে বুক  নাড়া অভ্যাস ছন্দ
সারি সারি নগর ভদ্র ডান সাইড
অপরিষ্কার বিজ্ঞাপন নিতম্ব
ঝুলে পায়রা মাসিক দেওয়াল
বাবুদের হাতে চিত শরীর
স্বপ্ন জল ভেজা গঙ্গাবৃক্ষ
থুতু  মুখে ঠোঁটে বাষ্প কেনাবেচা....
তোদের গলির ভেতর মউ হাটী
বোকা রাত টহল দিচ্ছি
.............
শহর

দিন তখন কালো
দিন আজ স্বল্পবাস
....
খবর শাড়ি শহর বিবাগী
তোকে খাবার কাঁচে সাজিয়ে
রাখা পণ্যকুমীর ভাবা মধ্যধাতু
ছিটকে যায় বিদ্রোহী বর্তমান
নিউজ নিউজ ব্রেকিং
সাদা ঘুম বুদবুদ উড়ে যাচ্ছে
ওই....ও......ই
আমার কথা কানে গিলবে...না
বুম বুম সমাজ টপ.....লিস্ট
..........
রান্না

ফেরি করা রান্না ধূয়া
দুটি ডানা ওড়ে ট্রেন
সন্ধ্যা সন্ধ্যা....
আঁচড়ানো জানালায়
খেলার মাঠ রাতঘুম উচ্চারণ
বাসী উলু উলু উদ্বাস্তু জোঁকার.....
এখন ও শুনে উজানদৃশ্য
...........
ঘুম

ঘুম বাষ্পের মত
উর্মীদি'
ডালে......
হামাগুড়ি পাশাপাশি
পলাশশাড়ি
........
প্রচ্ছদ


একটি পোকাকে দেখেছি.....বোকা গাছে...একটি
চাঁদ তখনো শাড়ি পরা বুকে....আমার দিকে এগিয়ে
আসছিলো.....আমি সহায়সম্বলহীন.....ঘুম হাতে
লোমকুপের জল গুনছিলাম.....আমাকে ধিক্কার
দিচ্ছিলো এই সংসার....বিলাসীসোনা অলি
হাঁটি নি বলে....
কবিতা আমার কিনে ছিল
কিছু সম্পাদক.....সাপের ঘামে রক্তচোষী.....
আমার কবি স্বপ্ন....শুধু আমাকে গিলছিলো....
একটি জোকের দামে.....||আমি নষ্ট কবি....তবু
অ....আ....ভালোবাসি....তবু রোজ রাতে বরাকে
হাত বুলোই....তবু. ঈ.....শ্ব.....র  শব্দ আমার প্রচ্ছদ ........
..........
নিয়ম

আমাকে তোমার ঘুম দেয়া হলো না||
শহর রোজ..রোজ...নিয়ম ঘুরে তুমি.....
চারবৃত্ত....•||
আলো ....সগভীর..||.বাড়িগুলি  দৃশ্যত .....নাভি স্বল্পবাস|
তুমি ......আমার কবিতায় চেয়ার সাজো
কিছু রোজনামচা||দুটি অপরিচিত বুকসেল্ফি...কাভার..স্লোগান||কিছু
গুগল ডিশ...গ্লাসে একগাদা শব্দ||দাম্পত্য প্রেম
......
হরেকরকম ||বিজ্ঞাপনের ফিক....ফিক....কনডম||সবই খেলার
মত নিচে গড়াগড়ি.....সবই মুখোশ নামের ভাইরাস....ভার্শন||.....
........
ভাত

বা....স....স্ট ....পে
ভাগ হ্য কিছু রাত...
আমি...ঘুম...
সবাই...ঘামে..
নি....জে ....র  মত
তুমি......মেঘ...
অন্তর্বাসে....
পুরোনো শ.....রী....র
আবার.....
আ.......মৃত্যু...কেনা.....কা......টা
জমানো.....ক....ন......ক.....নে
জল.......জাতিস্মর.....কলস
স্কুলে....দিদিমণির.....শনিবারের কাপড়
তোমাকে বলব বলে
লু.....ফে নেই. .বাথরুম
আয়না.....জবাব....দিচ্ছে
ওয়েল....ও..য়ে ....ল
আমি আজ  .....আজকাল....পরশু
জ.....ন্ম......নিলাম
মা.......ভাত বেড়ে রাখো
ব.......ড্ড......ওওওও
খিদে পাচ্ছে......এএএএএএএএএ
........ 
রাত
......
এখন রাত ১টা|অবুঝ চিঠি জানালার ভাটক|বৃষ্টিবোতাম খুলে |টহল দিচ্ছ|স্তনের বাস্কবন্দি শিরায় কিছু ঘামকথা গল্প | উপোষী স্বপ্নলবণ|আমাদের রোজনামচা গোল পার্থিববৃত্ত|থালাময় ক্রমশ ঘুরপাক নামতে নামতে|যদি জন্ম হলুদ পোকা|বৃক্ষ শব্দ সংসার|আমাদের বেডরুম হরমোন|দু একটি বাদামী শহর|
ফিস ফিস আলাপ করো|হাইড্রোজেন বুদবুদ |অবেলার  হিসেবীস্বপ্ন||ঘামতে|| ঘামতে||
.........
চিহ্ন
......
কোলাজ গর্ভ নদী তারা পৃথিবী যোনী
কবি জোড়ানো অবস্থায় বেডরুম
 
কাল শনিবারের প্রসব ব্যর্থতার
   
বিছানা বালিশ পরিচর্যাময়    
             
ভাতের.      
              
দানার
              
দূরত্বে
             
খেলার
পরিচয় সলতে পাকানো নীরব গল্প
মাথায় তুমি অন্য  দুষ্টুচিহ্ন সংলাপ
........
ছাতা হাতে ধরা আমাদের পূর্বপুরুষ
......
      অনেকটা বদলে গিয়েছ
ঠিকানায়
পা বাড়াও
বড্ড উঠন
জলের চিহ্ন
আলাদা
খুঁজে পা
ফুটপাত
জাতপাত
একগাদা
সংসার
উত্তরায়ণ
প্রজন্ম
জাস্ট
বিনোদন
আস্তানা
স্কাইপ
হানা
হাইকি
চশমা
সোজা
হয়ে
হাঁট
বৃষ্টি
থামছে না
........
কবিতাগৃহ
......
কবে আসব জন্মকোষ|ক্ষমা দুই দমফাটা শকুন ভারমুক্ত|
বাবা বরফজলে
       
সেই
       
বই
আবার লিখে কালবুদবুদ পলিথিন|
       
খাবার পায় না শববাক্স|
       
আমি চড়ক মেলার
            
সন্ন্যাসদন্ড|
মা সামলে ধরলেন বসতবাড়ি|
বাবা জোড়হাতে শব্দনিখুত|
দাঁড়িয়ে
গাঁথেন
তালপাতার পুঁথি|
আমি কবিঘাটে
প্রহরমন্ত্রে
পুড়ছি
বাবার কবিতাগৃহ....
........
উষ্ণ
......
সশরীরে অন্য এক সাদা মেঘ
কবি ভিজে ..
শব্দ গলে আলপথ....
কেঁপে ওঠে স্বভাব লাজুক..উষ্ণ..গন্তব্য.
 
...........
পিসেমশাইয়ের...বৈধ বিছানা...
       ......
রাত দুটো অব্দি
বাসুদার মেয়ে..-কামড় শব্দ-
উচ্চার করে
সেই তলিয়ে.. যাওয়া শব্দে
কার ঘুম ভাঙ্গল না..
    
কারণ
বাসুদার কচি মেয়ে
তার...পিসেমশাইয়ের কোলে বেড়ে উঠেছিলো
.........
তুমি..আবার উঠো
......
নাভি সুঠাম শামুখ
ঘুম বাঁকা কাঠে
নিষিদ্ধ বৈতরণী
পার হয়
.........
বিস্তার
......
রাতে চড়ে বেড়ানো
.....
পিচ্ছিল ঘুম
আলো বিস্তারে
মহাশূন্যে ফিরে যায়....
........
ক্ষুধা
......
বস্ত্রহীন খুদা আলিঙ্গন করে
ভেঙ্গে পড়া অক্ষরের অজস্র ভ্রূণ
হাড়ি উপুড় করে
ঘুমিয়ে আছে তোমার বৃত্তগর্ভে....
.........
তপ্ত
......
যোনি-মুখাগ্নিতে
তপ্ত
অগ্রন্থিত শব্দ চর্বি
    
হঠাৎ থমকে দাঁড়ায়....
অপ্রস্তুত
আলাপচারিতায়...
.........
জন্ম
......
পরিশেষে
উপুড় হয়ে
কামড়াতে লাগল
দুই শূন্য তালু
তবুও ব্যর্থ হলে
তার ঠোট রাখা ..থুতু
গাছে গাছে গুপ্তভাঁজ
খুলতে থাকে
যদি কিছু নি:শব্দ.
প্রথম কবিতার মত
জন্ম পাড়া যায়
..........
পিচ্ছিল
......
ক্রমশ আলপথ ডুবে
হালকা হাড়ী ঘুময় বস্ত্রহীন
....
আলোশরীর লুট হলে
আহত ছায়াস্তুপ
জলকাটা শামুখঢেউ
পিচ্ছিল
আধপোড়া
.....
কাষ্ঠ চুম্বন
সস্তা তক্তপোষ ঝাপটে
গাংচিল
হাঁটুসুঠাম সধবা কর্ষণে
 
শাকান্ন
হেঁসেলের লাজুক কবিত্ব
হবিষান্ন মেঘমলাট
কাত করে
সন্ধেবেলা চালাঘরে.......শব্দমালা জপে.....
............
ভিড়
......
জল পড়ে যাচ্ছে
তোমার গুটোনো সংসারে
আবার ভিড় ঠেলে
কাপড় খুলো
আকাশে ট্রেন
ঘুমিয়ে বিকেলপ্রায়
তবুও গাছে পুকুরের ছাল
বুদবুদ সবার পিছু শরীর
দিদিমণির নামতা ঠোঁট
প্রথম হারানো কাপড়বৃত্ত
............
চাবি
......
আমি গার্হস্থ মরীচিকায়
বুক ধুয়ে
চাবি ঘরে লুম কাত করি
কারণ
সময় নষ্ট হয়
খসা বীর্যের মত
তুমি নাভিময় গন্ধে
জমে থাকা
বালি'স দুটি
রোদে উষ্ণ
ঘাড় ব্যথা
দ্বিতীয় সন্তান সম্ভবা জঠর
     
........
কাঠ
......
তোমার ঘাসভিরু সরল কাঠ
ছেলের হাতে
আতপময় ধূপকাঠি
বাসাভর্তি সধবাচুলের মেঘ
ঘাড় কাত করে
লেবুবাগান কাঁটা আর নীরব গন্ধ
শালপল্লব ঘুমহাওয়া
তোমাদের বাড়ির মাঠ
মাঝ সন্ধ্যায়
শাড়িময় মাতৃস্নেহ
খৈ ওড়া পুষ্পথালি
কিছু আগুনের বিনিময়ে আলতালাল
ভৈরবী
ভালোবাসা
........
অরণ্য
......
ভেসে উঠে সারারাত
অপূর্বের ছায়া অরণ্য
অক্ষরছিন্ন জামা
পথশিশু পাঠশালা গন্ধ
অদূরে রেলগাড়ি
সবুজ পাখী উঠনভর্তি নিমফল
গাছটি উত্তরের খড়কুটো বৃক্ষ ডানা অতিথি
প্রাচীন নীল ঘূর্ণ
............
বিধবা
......
মাছ ধরতে ধরতে
একটি পুরুষ
বিধবা
তার একাকিত্বে
ঘুম আর বুক পাতে না
জড়িয়ে শোওয়ার জন্য
.......
শব্দ
......
ঘাঁটে বাঁধা শব্দ|
আবছায়া জলপথ|
বাজে কবিদের ঘুম|
হিম হিম শূন্য|
ধারাপাতে ছুটির মায়ারোদ|
শেষ পাণ্ডুলিপি শ্বেতশামুখ
........
স্তন
......
চোখ খুলো
আমি কাপড় খুলছি|
আমার জন্ম স্বাদ পুকুর স্নান|
আনন্দি স্তন মাতৃকান্যাস
|
দেখ .......আমি এবার বস্ত্রহীন
তোমার হাতের ঘাম
ধুয়ে নাও
|
আমি একান্তে
ডুব জলে নামছি|
তুমি আমার .....আসন. .পাতো|
 
.........
কবুতরের পীঠ
    ......
উড়ন্ত শতাব্দীর জলেও
তোমার প্রাণ আমায় গুপ্ত করে
পাশেরবাড়ির হাত
আমি সাত শরে
ঘুমিয়ে তাকাই....তোমার পালক 
কাঠের ঘোড়া চুবে আয়োজন||
প্রথম বুক উঠা আমেজ||
ইশারায় লুকোনো কাপড়||
জানালা এক আবার দুই আলো
কবুতরের পীঠে
||
খেলা বারান্দার বালি রদ
গরম তালুর সময় ছুটি বাড়ি যায়||
যেন সব আগের মত রান্না করে.......||
তোমার ভাত মাখার গন্ধে
আমার জন্ম হারায় ধোঁয়া||
.........
হাতমোজা
......
তোর আসন
আমি ভিজিয়ে রেখেছি
একা হাতমোজায়
আমি খুলা হাঁটু|
উঠবস |যোগাসন|
ধাতু বিকেলের পৃথিবী|
উপুড়| একটি জলঘুম
|
তোদের সুরসুরি|
আরেকধরনের সংসার লুম|
যাদের আগুন
পরপর হামাগুড়ি দেয়
মিলনের কাঠসন্ন্যাস
|
........
জন্মান্তর....কৌপীন দৃশ্য হয়ে উঠলে
       ......
শূন্য ডালিম|| ফাটা সিঁড়ি মেঘ||
ব্রহ্মাণ্ড স্তনচুমু ||হবিষান্ন চালাঘর||
অপারে দুটি গার্হস্থ বালিশ ||
গাংচিল বৌ    ||
হাঁটুউচু যোনিঘাম||
ঘুমে ঘুমে ভাসমান.....||
আতপ চালের
নাভিডিঙ্গিকাঠ .....
.........
আকাশ
......
গাছে ||ঘনঘুম ||ছায়া-দর্শন||
পালকী ||উত্তর পলাশ||
ডানা শুভ্রপাখী|| উড়ু ||মাটী তাপ||
আকাশ ||মাঠের ||শেষমাথা
||
........
পুকুর
......
মৃত্যু প্রতিবিম্ব| মিলিয়ে যাচ্ছ|
পটভূমিকায় পুকুরপ্রান্তের সাদা শীত|
জলের ঢেউ বীর্য..
অবৈধ গন্ধে |রতিঘাম |ধানের গর্ভ খসে
আবার কাঙ্ক্ষিত পরজন্ম.....
........
যোনী
......
বৈধ ক্ষুধায় |উপোষী যোনী |
নোংরা হয়ে যাচ্ছ....|
কিছু মানুষ |মাছরাঙা  আর্দ্রতা
কাটানোর অভ্যাসেই|
অন্তরালে |বিজ্ঞাপন ঢাকা. 
..........
নাভি
......
শরীর থেকে মাটিশূন্য গাছ|
তুমি তো আমার ঘর আস্তরণ|
অসম্ভব একা এই নাভি কখনো নষ্ট হলো না |ছুটো
গর্ত চিহ্ন| অনন্ত |শব্দের যোগসূত্র|
শরীরে শরীরে কান্না করে |নাছোড়বান্দা প্রজন্ম গ্রন্থি
||       
.......
জল
......
       একটি পোকাকে দেখেছি.....বোকা গাছে...একটি
চাঁদ তখনো শাড়ি পরা বুকে....আমার দিকে এগিয়ে
আসছিলো.....আমি সহায়সম্বলহীন.....ঘুম হাতে
লোমকুপের জল গুনছিলাম.....আমাকে ধিক্কার
দিচ্ছিলো এই সংসার....বিলাসীসোনা অলি
হাঁটি নি বলে....
কবিতা আমার কিনে ছিল
কিছু সম্পাদক.....সাপের ঘামে রক্তচোষী.....
আমার কবি স্বপ্ন....শুধু আমাকে গিলছিলো....
একটি জোকের দামে.....||আমি নষ্ট কবি....তবু
অ....আ....ভালোবাসি....তবু রোজ রাতে বরাকে
হাত বুলোই....তবু. ঈ.....শ্ব.....র  শব্দ আমার প্রচ্ছদ .....
.........
ট্রেন
......
অবেলায়....
টিউশন...ফেরি করা
মমের ট্রেন
একবুক পেয়াজ চোখ
হাত হজম বার্গার
লোনা আন্টি ঘুমের বিছানা
স্কুল ফেরত
রেলেশন
হাতালা বই
বালিশের পরিচর্যায়
গোলাকার বসন্ত আংটিজানালা
ছুটি
রবিবার .....দরজা ঘুমে বুদ...
আকাশ হালকা সার্ট খুলে
হেঁটে চলে যাচ্ছে
...........
বিনোদন
...... 
ফরিং
জ্বলে
ওঠো
ভেঁপুশব্দ
আস্তানা
হাতেগোনা
নস্টালজিয়া
অ্যালকোহল
অদূরে শহর
বিনোদন
স্পন্সরশীপ
জড়িয়ে অবেলায়
টাওয়ারময়
দুটি
শূন্যবৃত্ত
...........
জন্ম
......
স্থির থাক তে দেয় না
জন্ম..মরণ..
আঙুলের মত পাঞ্চটি ঘোড়া
তলিয়ে যায়..
ঘরে জন্মায় জল
জলে জন্ম দুধ শরীর..
........
পুরুষ
......
শব্দের উপরে বিকেল
হাতে উপলব্ধ পুরুষ
ভার হয়ে উঠবে  ডানদিক..
ধানশিষ মাটি  কামড়ে পড়ে
বুকে নদী 
নদীচরে পড়েথাকা রোদ
শুকিয়ে রাখে
স্খলিত অক্ষরবীজ........
........
রস
......
গার্হস্থ সাক্ষাত.. উত্তর দিক
মাঝমাঠে
উষ্ণ বিরতি..
কাজলের ঘর..
জানালা খুলা....
অনেক নিথর শব্দ
বালিশের সাদা চামড়া
প্রদক্ষিত ..
আমার শরীরের লবণ..
গ্লাসে সমুদ্র গলে..
দাড়ায় বিকেল..
স্পন্দন কোষ ..
সংহারমুদ্রায়....
বিসর্জিত..অতন্দ্র রস..
.......
হাসি
......
এক এক দিন ..
জলে আগুনে হাত দিতে হয়/
ছুটো..ছুটো হাসি
সময়ে সব জিনিস..ঠেলে দেয়
হারিয়ে শস্যেদানা
মাটি ভিজে রক্ত..
শামুক সন্তান পা বাড়ায়..
তোমার ..পূণ্যস্রোতা কোলে
......
রতিঘুম
......
অসুস্থ বালতিতে শীত
জলে সাষ্ঠাঙ্গে লুটিয়ে পড়ে
নিরাশ্রিত রোদ ..
পোকাকাটা কবিতা..
পীঠ ঠেশে
শুকোয় গুপ্তভাঁজ..
আমি
এক দৃশ্য
শূন্য অতল
শব্দছুঁচে ক্লান্ত আঙ্গুল ..
হিম ঘাসে
চিবোয়  রতিঘুম
......
গুহা
...... 
গুহার শেষপর্বে
অবসন্ন ঘুম
তোমার আদলে হোঁচট খায়..
চৌকাঠের শূন্যদম্ভ
শকট বেষ্টন
বাউল শয্যা....
........
ধান
...... 
ধান গুচ্ছ  আগুন ঘষে
বীজমন্ত্রে  দীক্ষিত সূর্য রং
মাথা রেখে শুয়ে পড়
চাল্ধওয়া মেয়ের কুলে
এই ঘুম নিশ্চিন্ত ..অনাবৃত
............
পীঠে
......
চালধোয়া মেয়ের অদ্ভুত ভাব
পীঠে তলোয়ার  বিদ্ধ জলরস
অনাবৃত  মরুতৃষা
অনাহত স্তনে দাঁড়বায় দৈব দুধ সর
গতির বিচার সব হারিয়ে  ..
..........
বাউল
......
আধশোয়া চাঁদ স্নানে
পূর্ণ..তার বুকের মাতৃত্ব..
বরাক পারের "উনুন লেপা মেয়ে"
ছিঁড়ে ছিঁড়ে..বুদবুদ গিলছিলো
মেঘ আকাশের
শেষের  কয়েক মুহূর্ত.....
আমি মাছধরা টুকরো আলয়
বাউল  ভাসান
...........
হলুদ
......
পায়ের হলুদ আরামে
প্রদক্ষিত শীত
স্বভাব দোষে
আঁকড়ে ধরে
তোমার আড়াল...
বীজ গুলি আবার ...
ফিরেয়ে দাও.
..
আমি কবিতা জন্মাব
............
কন্যা ভ্রূণ
......
শূন্যগুলার
একান্ত
জলবাক্সে
আমার পাখা কাঁপে
দ্বিঘাত সমীকরণ
তুমি ওড় আর নাই বা ওড়
.....................
ডানাবসন্ত
......
দিয়ে নিয়ে যাবেন |সব রাস্তাই সমান| আমি মুখ দিয়ে টেনে তুলি মানুষ পরিচয় |স্পর্শ করে ঠেলে দিচ্ছি|
সব থেকে বেশী পছন্দ| রক্ত থেকে রক্ত| খুলে যেতে আমি আমাকে দেখেছি|.....একটি মাটির ঢেলায়
দেখা যায় না|ডানাবসন্ত পৌছে এক জায়গায়|এক সময় আমিও ছিলাম কবিগর্ভের মাসিক যন্ত্রণায়|
           
আমাদের ঘুম পড়েছিলো
নষ্ট রক্তে| স্তনভরা শব্দের কুটোবাঁধা বালিশ
......................
আমি মা হব....
......
নবম পর্ব পাঠশালা রঙ্গ
বেয়ে নেমে যায় তমার রতি অনুষ্ঠান
বুকে লুকিয়ে রাখো পুরুষের অধরা ঠোঁট
এক....এক করে জন্ম হক
একালের সম্পূর্ণ কবিতা
বিকেলের স্নানের কাপড় চুবিয়ে আমি মা হব
আমার স্তনব্রহ্ম মাতৃকান্যাসে পুরুষ শব্দ বাঁচিয়ে তুলবে
...................
তুমি
  ......
বৃষ্টি বুতাম খুলে|||টহল দিচ্ছ|||
স্তনের |||বাক্সবন্দি নীল শিরা|||
তবুও ধাতু হাতড়ানো নাভিশীত
গর্ভে মা ডাকে ঈশ্বরযোনী|||
অম্বীকানারী....অম্বিকানাড়ি.....অম্ভিকানাভি মা
.................
আমি মা
......
স্তনভরা শব্দ ভিজে
আমি মা হব......
ঠোঁটে ঠোঁট....
চুষে নিয়ো অন্তরব্যাথা.....
তোমার শূন্য কমন্ডুলু
কৌপিন স্নান
জন্মান্তরে
পুরুষ সন্তান......
.......
কবি ছবি গুপ্তা
শব্দ ছুঁচে ক্লান্ত আঙ্গুল
শেষ কুয়াশায়..পোহাচ্ছ আগুন..
শীত দুপুরের নউকো ঘুমে
জন্ম গর্ভে পুত্র-পুত্রী নয়
অদ্ভুত শীতে নিরিবিলি
হাতড়াচ্ছিল..মা..শব্দ
বৃহৎ পটভূমিকায় জন্ম দিয়েছিলে
আমাদের সবার কাঙ্ক্ষিত 'মা নিষাদ

কোন মন্তব্য নেই: