আমার দেশের একটি ছেলে ও মেয়ে
.....................................................
সব মেয়েরা ভীষণ সুন্দর হয়
তাদের ঠোঁটে এক অদ্ভুত খরখরে বালিময়তা
এক অপ্রাপ্তবয়স্ক বেলাভূমি
ঢেউয়ের মত হাজার হাজার মূহূর্তের আসা যাওয়া
উচ্ছ্বাস জমা হয় ঠোঁটের বাঁধে,
শিশির হয়ে টুপটাপ ঝরে পরে বুকজলে
একটি ঢেউয়ের আস্তিনেও তখন থাকে না নারীবাদ,
তারপর ঝরনা নেমে আসে শরীর বেয়ে,
মননে অবাধ বারিপাত ,
মোম আস্তরনে ঢেকে যায় তাদের আঙুল, নখের ডগা,
গাঙচিল উড়তে থাকে নদীর বুকে,
গভীর আকাশ জড়ো হয় ধীরে ধীরে তার চারপাশে
মেয়েটি হতে থাকে ক্রমশ নিজস্ব।
নির্ভয়া বা দামিনী বা জ্যোতির গল্প
আমরা শুনে চলেছি দুই হাজার বারো থেকে
এসব গল্প বহু কালের পুরনো
বলতেও ইচ্ছে করে না, ভাবতেও না
ধর্ষণ আবহকালের নারকীয় উল্লাস
দামিনীর রক্তে ভাসানো কপোল থেকে
নরম চুলের মতো সরিয়ে দিলাম সব নারকীয়তা
আশ্চর্য মুখে পৃথিবীর সব প্রাপ্তি খেলে গেলো
নির্ভয়ার বিনিময়ে তার বাবা টাকা পেয়েছিলেন, পঁচিশ লাখ বা আরো বেশী
নির্ভয়ার ভাই একটি চাকরি
সরকার আইন বানিয়ে তরিঘরি শাস্তির ব্যবস্হা ও করেছিল
শুধু অনিন্দ্য কুমার পান্ডে, গোরখপুর....
দামিনীকে ভালবাসতো।
ফ্রম দ্য ক্যোর অব্ দ্যা হার্ট, এটাই কি!!
কোন টাকা , চিকিৎসার খরচ নেইনি নিজের জন্য
মিডিয়ার সামনে বাহবা কুড়োয়নি
আগুনের মতো চোখের জল তার বাকি জীবন
ছেড়ে যেতে পারত, সে মুহুর্তে ...যায়নি,
লড়ে গেছে, রক্তাক্ত উলঙ্গ শরীর নিয়ে
চলন্ত বাসে দিল্লীর রাজপথে তীব্র শীতের রাতে
সব শেষ হয়ে যাবার পর বান্ধবীকে কোলে নিয়ে
একটি কাপড়ে ঢেকে,
হাত দিয়ে গাড়ী থামানোর চেষ্টা করেছে রাতভর
সেদিন আমার দেশ কেঁদেছিলো, এমন ছেলেও আছে তার
রাজপথ মহাকাব্যের হস্তিনাপুর রাজসভা
কেবল সেই যাদববালক বড়ো অসহায়!
অনিন্দ্য কুমার গোখলের চোখে তখন কি ছিল
তার ভালোবাসার মরুঝড়
সেদিন পৃথিবীর মাটি বুঝি বলেছিল,
"এমন পুরুষের জন্য, বাঁজা হয়ে আছি কোটি কোটি বছর .......
আমাকে দাও বারংবার ধর্ষণের উলঙ্গ সম্মান ....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন