“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১৪ মে, ২০১৭

মা


                             
           ।। রফিক উদ্দিন লস্কর ।।



(C)Image:ছবি
















বার ঊর্ধ্বে আসন মাগো তোমার তুলনা নাই,
তোমার কাছে বারে বারে ফিরে আসতে চাই।
চোখে চোখে রাখার পরেও আড়াল হতাম যখন
তুমি হন্যে হয়ে দিগ্বিদিকে খুঁজে বেড়াতে তখন।
আড়াল থেকে আসার পরে কোলে তুলে নিতে,
তুমি বুকের মাঝে ধারণ করে আদর চুমু খেতে।
পড়ার জন্য সন্ধেবেলা বিছানায় বসাতেন তিনি,
বিবেক বলে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক তাই সবসময়ই ঋণী।
জোর করে মা খাওয়াত খাবার গল্প কেচ্ছা বলে,
একটু খেয়ে আর খেতাম না ভেসে যেতাম জলে।
ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে মা চোখ বুজাতো জোরে,
দুগাল ভরে চুমু খেয়ে হাত বুলাতো মাথায় মোরে।
রাতের পরে রাত জাগিতেন আমার অসুখ হলে,
ওষুধ পথ্য  বৈদ্য এনেও ভাসতেন চোখের জলে।
একটু বড়ো হবার পরে পাঠিয়ে দিলেন পাঠশালে,
মা ছুটিতেন তীব্রভাবে কোথাও  কেউ আটকালে।
একটু একটু করে যখন বড়ো হলাম সেই আমি,
স্বর্গ থেকে খুশির জোয়ার মায়ের মনে এলো নামি।
এই জগতে সে বড়ই ধনী, মা আছেন যার ঘরে,,
তুমি কষ্ট দিলে ভুগতে হবে, বেহেশত যাবে সরে।
                 **********************
১৪/০৫/২০১৭ইং
নিতাইনগর,হাইলাকান্দি(আসাম)

কোন মন্তব্য নেই: