“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ১৯ মে, ২০১৭

অসমাপ্ত অভিধান

।। চিরশ্রী দেবনাথ।।















মার ভাষা এখন নাগরিক, উঁচু বাড়ির সারি
মধ্যযামে বাতাস আসে গরীবলোক থেকে
খিস্তি, গালি, নেশার আম্রচুড়ে মাতোয়ারা
রাশি রাশি মেঘটাওয়ারে আটকে যায়
অভিধান চ্যুত শব্দ গ্রন্থি, মেছো সুর,
বৃষ্টি নামে তুমুল অজস্র,
ভাসতে থাকে ছেলের দলের দড়ি ছেড়া বিকেল,
এতো উঁচু থেকে কিছু বোঝা যায় না অথবা অনেক নিচু থেকেও।
খোলা অভিধান পাতা আসনের মতো, প্রসূতি লগ্ন এখন।
ভিড় হয়ে আছে উত্তরপূর্ব ভারত
কাঁঠালের গন্ধ লাগা অনুন্নত শব্দের মিছিল
তারা শ্লোগান দেয়নি কখনো, করেনি আসন পাকা,
শুধু পরিশীলিত শব্দরাজির কণ্ঠ জড়িয়ে আজ তারা সবুজ পলি।
একটি বাংলা অভিধান কোনদিন সম্পূর্ণ হয় না, এ গৌরব নিয়ে বইছে উনিশ,
তরুণ ছাত্রটি গবেষণা পত্র জমা দেওয়ার আগে লিখে দেয়,
" সবে শুরু, সবসময় যেন হয় মধ্যরাত,
ছুটে যাক দুরন্ত পাহাড় লাইন, আর
নক্ষত্রের মতো জেগে থাক সমূহ শব্দ

কোন মন্তব্য নেই: