“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৮

কাঁদতে শিখেছি

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি












ছোটবেলায় যে ঘর বেঁধেছে বুক
ছাউনি দিয়েছ সুখ,
 
রোদ বৃষ্টি বাতাস অনায়াসে ঢুকে পড়ে এ সময়,
অথচ সেদিন আমার মতোই আমি
গুছিয়ে রেখেছি সব।
এখন আমি অনেক বড়
বুঝতে পারি
 
বাইরের আকাশ ভেতরের আকাশের মত বড় নয়,
 
সাজানো গোছানো নিরাপদ নয়,
 
প্রতিকূলতার কোলে ভেসে থাকে জীবন
 
প্রতিদিন
 
শরীর থেকে জীবন আলাদা বাস করে।
বুকের ঘরে সাজানো ভাবনা যত 
পুড়ে যায়,
 
ভিজে যায়,
 
উড়ে যায়।
 
সুখের ছাউনি দুমড়ে মুচড়ে অপরিচিত ঘর,
মেঝেতে রোজ নেমে আসে মেঘলা আকাশ
দফায় দফায় কাঁদতে শিখেছি আকাশের কাছে।


কোন মন্তব্য নেই: