“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮

সজীব প্রাণ



            
          












।। সিক্তা বিশ্বাস ।।
            
বাজতো যখন স্কুলের ঘণ্টা
বেজায় ভারী সবার মনটা !!
ভারী-ভরকম পড়ার বহর
 
একটানা নিত কত যে প্রহর !!!
স্যার ,ম্যাডামের গম্ভীর মুখ 
ছাত্র- ছাত্রীর বড়ই অসুখ !!
কঠিন শাসন
  ছিল যে স্বভাব
শিশুমন বোঝার বড়ই অভাব !
বাজতো যখন টিফিনের ঘণ্টা 
বেজান-ছাত্রদের হাসির ক্ষণটা ...
একদৌড়ে কেবল বেরোবার তাড়া ...
বেহুঁশ বিলকুল !!
স্যার-ম্যাডাম কি ক্লাস ছাড়া !!
একমিনিটে টিফিন সাবাড় 
ছুতো শুধু মস্তি আর খেলা করবার ...
চৌকিদারের অলক্ষ্যে
  ফল চুরি ...
ধরা পড়লেই কাচু মাচু মুখ মায়াধারী
  ...
সবাই মিলে জোটে শাস্তি
  
শাস্তিতেও বেজায় মস্তি ...
বাজতো যখন ছুটির ঘণ্টা 
নেচে উঠতো বেদুইন মনটা
 
একছুট্টে
  ঘরে যাওয়া ,
ফের দৌড়ে মাঠে ধাওয়া ....
  ক্লান্ত শান্ত সবুজ  মাঠ
নির্জীবতায় শুকনো কাঠ !!
হুটোপুটিতে পেতো জান ...
কলরবই তার আসল মান ..
ছিল যে শৈশব সতেজ সবল
উচ্ছ্বলতায় দুর্দমনীয় প্ৰবল ...
আজ যে শৈশব কলের যন্ত্র !!
শিশুভোলা নয়কো মোটেও স্বতন্ত্র !!
নেই মুখে সেই
  সজীব হাসি 
যান্ত্রিক যুগের হাতে শৈশব ফাঁসি
  
চাই যে দিতে সজীব প্রাণ ...
সজীব শিশুই দেশের কল্যাণ ...


            ~~~~~~~

*ঝোড়োমেঘ*

কোন মন্তব্য নেই: