“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৮

হাটভাঙা ইতিহাস



।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি









রীরের গন্ধ রেখেছি মুহুরির কাছে,
যতবার ভিজেছি ততবার
আমার মতোই ভিজে ভিজে দুভাগ দুদিকে
মাঝে উজান খবর
ভাসতে ভাসতে বাংলা খুঁজে বেড়ায়;
মুহুরি জানে, বাংলা আমার পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি।
ভঙ্গ-বঙ্গ বাংলা হবার আগে কষ্টপাখি
উড়ে উড়ে ঘর খুঁজেছে ঘরে,
ঘরছাড়া পরিবার দুভাগ হলে
ঠাকুরদা ফেনীর ধুমঘাট পিছে ফেলে মনুঘাটে
তারপর পাহাড়ি পথ...
এখানেও ফেনীকে সুখী মনে হয় 
পুণ্যস্নানের সুখ ধুমঘাটের মতোই,
তবু মাটির চেনা গন্ধ ভাগ হয়ে ভাগাভাগির তরলস্রোত
ঠাকুরমার ভালো লাগেনি।
ফেনীর কাছে থেকে ফেনীর গভীরতা ভুলতে পারেনি কেউ,
ফেনীকে ওদিকে বয়ে যেতে দেখে
 
মনের কোথাও জেগে থাকে গোপীনাথপুর,
চোখ বেয়ে নেমে আসে আরেকটি ফেনী।
না, আর ফেনী নয়, অন্য কোনো নদী, অন্য কোনো ঘাটে
আরও দূরে, কর্তার বাজার পেরিয়ে নতুন ঠিকানা
চরকবাই, এক হাটভাঙা ইতিহাস;
এই গ্রামের পাশ দিয়ে যে নদী বয়ে যায়
শরীরের গন্ধ রেখেছি তার কাছে,
যতবার ভিজেছি ততবার ভঙ্গ-বঙ্গ বাংলা।


কোন মন্তব্য নেই: