“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৮

মি-টু













।। সুপ্রদীপ দত্তরায়।।


ই মেয়ে, এত কথা বলিস না তো
খুব বাড় বেড়েছিস তোরা 
ভাবিস কীরে নিজেকে ?
শুধরে দিবি সমাজ ?
ফু:, ছাগলের দীর্ঘশ্বাস ।
খুব তো শিখেছিস ঢং,
নিজের গায়ে নিজেই মাখছিস 
কলঙ্কের রঙ।
আবার বড়াই করে বলছে দ্যাখো,
কী? না মি-টু। হতচ্ছাড়ির দল।
লজ্জা সরম বালাই নেইকো, উচ্ছন্নের ছল 
কে বা কারা, পোস্ট দিয়েছে 
ফেসবুকেতেই শুরু 
হাতের কাছে যদি পেতাম 
তোদের মি-টুর গুরু, শিখিয়ে দিতাম ।
শিখিয়ে দিতাম হেনস্থা কাকে বলে, 
মাদার গাছে গা ঘষছিস, ভালো হবে না 
বলে দিলাম, ভালো হবে না তার ফলে।
আমি রত্নাকর, দস্যু সর্দার বলছি
দেখেছিস তো কী করেছি হাল
শুধু ওই নয়টা মেয়ে নয় , আরো অনেক 
আরো অনেককে করেছি হেনস্থা 
করেছি যৌন নির্যাতন , ফুর্তি করেছি
কী হয়েছে তাতে ? 
এ আমাদের জন্মগত অধিকার ।
খুব তো আনলি পুলিশ, যতসব ফুলিশ
কী ঘণ্টা করেছিস আমার ।
আমার তো শুধু বদলি হয়েছে, 
দ্যাখ তোদের চাকরিটা তো খেলাম।
এখন বল, মাউ পিসে আবার বল,
আকাশবাণী, আমি মন্দাকিনী বলছি, 
শুভ সকাল ।
আমি প্রতিটি নারীর অন্তরাত্মা বলছি, 
যদি ঘটনা সত্যি হয়
যা প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকায়
তাতে যথাযথ সত্যতা রয়
তবে ধিক তোমাকে আকাশবাণী, 
ধিক তোমার ধৃষ্টতায়।





কোন মন্তব্য নেই: